বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে দেখা গেল এই স্পিনারদের নিবিড় প্রশিক্ষণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন স্বনামধন্য কোচ ওয়াহেদুল গনি। শিষ্যদের বোলিং দেখিয়ে দিচ্ছেন, কখনও বা তাদের বোলিং অ্যাকশন মনযোগ দিয়ে দেখছেন।
জানতে চাইলাম। স্যার, কেমন দেখছেন? বললেন, ‘কিছু কিছু বোলার আছে খুবই ভালো। আশা করছি আগামী বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দু’একজন ঢুকে যাবে। বেশ কিছু ছেলের পোটেনশিয়াল (সম্ভাবনা) আছে। বিশেষ করে কিছু ডানহাতি লেগস্পিনার আছে যেটা আমাদের দেশে কম। চায়নাম্যান বোলারও আছে। ওদের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছি। ’
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই মুহূর্তে লেগস্পিনারদের ওপরে জোর না দেয়ার অবশ্য কোন সুস্পষ্ট কারণও নেই। কেননা বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় দলে একজন লেগস্পিনার নেই। সবেধন নীলমনি যুবায়ের হোসন লিখন যাও ছিলেন তিনিও কয়েক বছর হলো দলের বাইরে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের চলতি আসরেও তাকে বসে থাকতে হচ্ছে মোহামেডানের সাইডবেঞ্চে। আরও অবাক হওয়ার বিষয় হলো প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেয়া কোন দলেই একজন ডানহাতি লেগস্পিনার নেই।
জাতীয় দল কিংবা প্রিমিয়ার লিগে লিখনকে বসিয়ে রাখা এবং কোনো লেগস্পিনার না খেলার বিষয়টি দারুণভাবে নাড়া দিয়েছে ওয়াহেদুল গনিকে।
‘দুঃখের বিষয়, প্রিমিয়ার লিগ চলছে আমি একটা ডানহাতি লেগ স্পিনার দেখলাম না খেলছে। এমনকি জাতীয় দলের লিখন সেও বসে আছে। অথচ ১০টি ম্যাচ হয়ে গেছে। এই অভ্যাসগুলো বদলাতে হবে। ডানহাতি লেগস্পিনারদের দলে নিতে হবে। সেই রকম সাহস কোচ ও দলের থাকতে হবে। তাহলেই ডানহাতি লেগস্পিনার আসবে’
কেন আমাদের দেশে লেগস্পিনার বেরিয়ে আসছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়াহেদুল গনি বললেন, ‘আমারা সবাই জিততে চাই। এটা চাইলেই আর নতুন খেলোয়াড় বেরিয়ে আসে না। আগে বুঝতে হবে, ডানহাতি বোলাররা কী রকম হয়। এরা হয়তো রানটা বেশি দেয়, কিন্তু ম্যাচ জেতাবে। অন্য চারজন বোলার থাকবে দলে, যারা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করবে। দুনিয়ার সব জায়গায় এভাবে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এখানে সে রকম নেই। হার-জিতের চিন্তা কম করে এদেরকে সময় দিতে হবে। ’
লাল-সবুজের দিনবদলের পালে জোর হাওয়া লাগাতে নিঃসন্দেহে দলে লেগস্পিনারদের উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেই বোধের উদয় হতে মনে হচ্ছে সময় একটু বেশিই লেগে গেল!
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ১৮ মে ২০১৭
এইচএল/এমআরএম