কেননা আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান লিটুর ভুল সিদ্ধান্তে তিনি ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন ৬৯ রানে। কিন্তু নাফিসের লক্ষ্য ছিল নিজের ইনিংসটি আরও বড় করা এবং দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়া।
৭৮ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৬৯ রানের ইনিংস সাজান নাফিস। আবু জায়েদের বলে ইনিংসের ৩২তম ওভারে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ মিঠুনের গ্লাভসবন্দি হন নাফিস।
আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে এমন বড় জয়ের পরও বেশ বিমর্ষ মনে হলো নাফিসকে, ‘বল ব্যাটের কোথাও লাগেনি। তারপরও আম্পায়ার আউট দিয়ে দিল। উনি ভুল সিদ্ধান্ত না দিলে আমার ইনিংস আরও বড় হতে পারতো। আর ইনিংসটা বড় হলে দলকে জিতিয়ে ফিরতে পারলে আরও ভালো লাগতো। ’
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২০ মে) বিকেএসপি ৩ নাম্বার মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের ১১তম রাউন্ডে। লিগ পর্বের একেবারে শেষ ম্যাচে আবাহনীর দেয়া ২৪৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা দোলেশ্বর ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর ফেলেছে। শাহরিয়ার নাফিসের ৬৯ রানের পাশাপাশি দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছে মার্শাল আইয়ুবের ৮৩ রান।
প্রাইম দোলেশ্বরের ব্যাটিং ইনিংসের ৩২তম ওভারে আবু জায়েদের চতুর্থ ডেলিভারিটি ছিল লেগস্ট্যাম্পের অনেক বাইরে। সেই বলেই আম্পায়ার মাহফুজ তাকে আউটের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে অভিযোগ নাফিসের, ‘ওয়াইড বল, লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে। বল চলে গেছে কিপার মিঠুনের হাতে, ব্যাট লেগেছে মাটিতে। অথচ আম্পায়ার আউট দিয়ে দিয়েছেন। ’
তারপরেও নাফিস আনন্দ পাচ্ছেন একটি ভাবনা থেকেই। আর সেটি হলো লিগে আবাহনীর সঙ্গে তাদের পয়েন্ট সমান (১৬)। নাফিস জানান, ‘খুবই ভালো লাগছে। পয়েন্ট টেবিলের কারণে জয়টা খুব দরকার ছিল। আজকে জেতাতে আবাহনীর সাথে পয়েন্ট সমান হলো। আবাহনী বড় দল, গতবারের চ্যাম্পিয়ন। তাদের বিপক্ষে জিততে পারার আনন্দটা অন্যরকম। ’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের চলতি আসরের ১১ ম্যাচে ৮ জয় ও ৩ হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে প্রাইম দোলেশ্বর। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে সমান জয় ও হারে সমান ১৬ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের ২ নম্বরে আবাহনী। আর আবাহনী ও দোলেশ্বরের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ২০ মে ২০১৭
এইচএল/এমআরপি