৩৬ বলে হার না মানা ৪৬ রানের ঝকঝকে মারকুটে ইনিংস উপহার দিয়ে কিউইদের বিপক্ষে জয় তুলেছেন টাইগারদের ঘরে।
তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের দৌলতে টাইগারদের এমন দাপুটে জয়ে আনন্দের যেন সীমা নেই রিয়াদের বেড়ে উঠার শহর ময়মনসিংহে।
ময়মনসিংহ নগরীর সেহড়া হিন্দুপল্লী রোডের বাসায় গিয়ে আলাপ হলো তার ছোট্ট ভাতিজা ফারহান উল্লাহ রাইয়ানের সঙ্গে।
আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রিয়াদকে বিদায় দিতে ওই সময়েই ঢাকায় গিয়েছিলেন বাবা ওবায়েদ উল্লাহ ও মা আরাফাত বেগম।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে রিয়াদের বাসায় বসে আলাপের সময়েই ভাতিজা রাইয়ান জানান, বাসায় টিভি সেটের সামনে বসে বড় ভাই আহসান উল্লাহ ও ছেলে ফারহান রাইয়া একসঙ্গে খেলা দেখেছেন।
রিয়াদের নজরকাড়া পারফরম্যান্সে দেশের কোটি কোটি মানুষের সাথে উচ্ছ্বসিত-উল্লসিত তারাও। যেন কবির ভাষায় ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬ বলে ৬ চার ও এক ছয়ে ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে যেমন জিতিয়েছেন, তেমনি গ্যালারিও মাতিয়েছেন। ময়মনসিংহেও নিজের ভক্ত-অনুরক্ত-সমর্থকদের উৎসবে মাতিয়েছেন। সেই গল্পই বলছিলেন ভাতিজা ফারহান।
‘চাচ্চু যখন চার-ছয় মারছিল, কী আনন্দ যে লাগছিল। আমি ঘরের ভেতরেই বাবাকে নিয়ে উল্লাস করেছি। বন্ধুদের সঙ্গেও চাচ্চুকে নিয়ে গল্প করেছি। আসলে আমার চাচ্চুই সেরা। ’
বুধবার (২৪ মে) রাতে মাহমুদুল্লাহ’র সঙ্গে আলাপ হয় ভাতিজা রাইয়ানের। ‘রিয়াদ চাচ্চুকে বলেছি কনগ্রাচুলেশন। লাভ ইউ চাচ্চু। আমরা অনেক হ্যাপি। ’ প্রায় মিনিট কয়েক চলে চাচা-ভাতিজার এ ফোনালাপ।
নিউজিল্যান্ডের দুর্গে টাইগারদের আঘাত হানার আনন্দে মাতেন রিয়াদের পাড়ার নারী-পুরুষ, জুয়ান-বুড়ো-বাচ্চা-কাচ্চা, কিশোর-কিশোরীরাও। আহমেদুল্লাহ অনিক নামে এক কিশোর বলেন,
‘দু:সময় জয় করে ভাল সময়ে ফিরতে পারেন মাহমুদুল্লাহ। একবার নয় অসংখ্যবার তিনি এ প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি আমাদের গর্ব। ’
ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ও নগরীর ঐতিহ্যবাহী পন্ডিতপাড়া ক্লাবের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন আমাদের মাহমুদুল্লাহ।
আবারো গর্জে উঠেছে টাইগাররা। হাতের মুঠোয় এখন স্বপ্ন ধরার আনন্দ। তাকে অভিনন্দন, বিশ্বকে টাইগারদের গর্জন শুনিয়ে দেবার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
এমএএএম/জেডএম