কিন্তু এখানকার একটি বিষয় আমাকে অবাক করেছে একথা বলতেই হবে। আর সেটি হলো ইংল্যান্ডে সন্ধ্যার শুরু হয় রাত সাড়ে ৯টা থেকে।
কী অদ্ভুত ব্যাপার, রাত সাড়ে আটটা তারপরেও সূর্যের উজ্জ্বল কিরণে ঝলমল করছে পুরো চারপাশ! তবে রাতের আঁধার বাংলাদেশের চাইতে প্রায় তিন ঘন্টা পরে নামলেও এখানকার সরকারি অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ এসবই আমাদের মতই বিকেল তিনটা-পাঁচটার মধ্যে ছুটি হয়ে যায়।
আর তারপরেই শুরু হয় ওদের ঘোরাঘুরি, খেলাধুলার ও বিনোদনের পালা। যা চলে প্রায় সন্ধ্যা সাতটা অবধি। রাত আটটায়ও দেখা যায় ঝকমকে আলোয় লোকজন পার্কে হেঁটে বেড়াছে।
অনেকে আবার সন্ধ্যা সাতটা’র পরপরই ঘরে ঢুকে পড়েন। তবে সন্ধ্যা নামতে দেরি হলেও বোঝা যায় যে, রাতের এই প্রথম প্রহরে বাইরে লোক চলাচল তুলনামূলক কমে যায়।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বললেন, ‘গ্রীষ্মকালটা এমনই। দিন অনেক বড়। কিন্তু শীতকালে আবার ভিন্ন চিত্র। বিকেল সাড়ে তিনটার সময়ই রাতের আঁধার নামে। তখন আবার রাত শেষ্ই হতে চায় না’।
রাত যখন ঠিক সাড়ে আটটা বাজে তখই সূর্য পাটে নামতে শুরু করে দেয়। গাড়ির হেডলাইট ও নগরীর স্ট্রিট লাইটগুলোও তখনই জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
দিন ও রাতের এমন বিস্ময়কর মেলবন্ধনের মধ্য দিয়েই চলছে ইংলিশদের জীবনপ্রবাহ। চলছে আমারও। চলবে আরও বেশ ক’দিন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
এইচএল/জেএম