যদিও মূল পর্ব শুরু হতে এখনও পাঁচদিন বাকি। তারপরও এই প্রস্তুতি ম্যাচটিই তাদের বাড়তি উন্মাদনার খোরাক যোগাচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ মে) স্টেডিয়ামে ঢুকতেই দেখা গেল পুরো স্টেডিয়াম চত্বর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির লোগো ও প্ল্যাকার্ড দিয়ে মুড়ে দেয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের মূল ফটকে শোভা পাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটি। ভেন্যুর সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে এক মুহূর্তের জন্যও বসে থাকতে দেখা গেল না।
বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম কর্মীদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সরবরাহ থেকে শুরু করে প্রস্তুতি ম্যাচ উপলক্ষে তাদের প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। শুধু গণমাধ্যম কর্মীদের জন্যই নয়, অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর খেলোয়াড় নিরাপত্তার বিষয়টিও তারা মাথায় রেখেছেন বেশ ভালোভাবেই। ভেন্যুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ার মতো।
প্রস্তুতির কাজ কতোটুকু শেষ হয়েছে জানতে কথা হয় এজবাস্টনের ভেন্যুর প্রধান মিডিয়া ম্যানেজার টম রলিংসের সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সফল আয়োজনের লক্ষ্যে দুই সপ্তাহ ধরে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছি। দর্শকরা যেন টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচ নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে পারেন সেজন্য ভেন্যু ও ভেন্যুর বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
টম আরো যোগ করেন, কোনো কারণে দর্শকরা ম্যাচের টিকিট না পেলে স্থানীয় সিটি সেন্টারে তাদের জন্য ফ্যান ক্লাবের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে বিপুল সংখ্যক দর্শক একসঙ্গে বড় পর্দায় ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন।
এরপর মূল ভেন্যুতে গিয়ে দেখা গেল, মাঠের শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গ্রাউন্ডস কর্মীরা। সব মিলে এজবাস্টনে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সেই উৎসব আরো বড় উৎসবে পরিণত হবে যদি টাইগাররা প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারের লজ্জা দিতে পারেন।
স্থানীয় সময়: ০৩২৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এইচএল/এসআই