তাছাড়া বার্মিংহামে মানুষের আনাগোনাও ইংল্যান্ডের অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেক কম। যা হোক বিষয়টি মাথা থেকে একেবারেই ঝেড়ে ফেলে ট্যাক্সিতে চেপে বসলাম।
কিছুদূর এগোতেই দেখি রাস্তার পাশে আইল্যান্ডে বিলাশবহুল পরিবেশে প্রাপ্ত বয়স্ক যুবক-যুবতী এমনকি বৃদ্ধরাও অ্যালকোহল সামনে নিয়ে বেশ ফুর্তিতে মেতেছে। শুধু ওই জায়গাটিই নয়, আমার কোচ স্টেশনের পথে যেতে প্রায় প্রতিটি স্থানেই এমন দৃশ্য চোখে পড়লো। মাঝে মাঝে রাস্তার পাশের ভবনগুলো থেকে উচ্চস্বরে বেজে উঠা গান কানে এসে আছড়ে পড়ছিল। তাই ট্যাক্সিচালককে জিজ্ঞেস করলাম, এমন উল্লাসের উপলক্ষ্য কী? ভদ্রলোক জানালেন, ‘আজ ওদের উইকএন্ড। ’
আমি সম্বিত ফিরে পেলাম। তাইতো, আজতো শনিবার। এভাবে যতই বার্মিংহাম বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগোচ্ছি ততই এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে। সারাদিন খেলার খবর লেখার পর ওদের এমন আনন্দ উল্লাস দেখে আমারও বেশ ভালো লাগছিল। যেন সব ক্লান্তি ওদের উল্লাসেই দূর হয়ে গেছে।
কেউ আবার রেসিং কার নিয়ে যতো জোরে সম্ভব একে অপরকে অতিক্রম করে যাচ্ছে। রেসিং কারের ভোঁ ভোঁ শব্দের রেশ কাটতে না কাটতেই হঠাৎ রাস্তার ওপরে পত্রিকা বিছিয়ে বসে থাকা এক তরুণীর দিকে চোখ আটকে গেল। বুঝলাম মেয়েটি মদ্যপ। পোশাক দেখে মনে হলো ত্রিভুনে তার আর কেউ নেই। তাই নিজের মতো করে উইকএন্ড উপভোগ করছে।
মজার ব্যাপার হলো, তিনি মদ্যপ অবস্থায় হলেও এতটুকু হুঁশ হারাননি। কিভাবে বুঝলাম? আমি আমার লেখার বিষয়টি মাথায় রেখে তার ছবি তুলতে উদ্যত হলে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আমাকে ইশরা দিয়ে ‘না’ বললেন। আমিও আর সাহস করলাম না। সোজা কোচ স্টেশনে এসে বাস ধরে আমার গন্তব্যে চলে এলাম।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫১ ঘণ্টা, ২৮ মে ২০১৭
এইচএল/জিপি
** এমন হারকে দুঃখজনক বললেন ইমরুল
** বাজে বোলিংয়ে হারকে আলিঙ্গন টাইগারদের
** ইংল্যান্ডের বহুরূপী আবহাওয়া
** এজবাস্টনে এক টুকরো বাংলাদেশ
** বার্মিংহামের পথে প্রশান্তি সেইন্ট মার্গারেটে
** গ্যালারিতে গর্জন, জয়ের অপেক্ষায় টাইগার সমর্থকরা