তবে মূল পর্বের মহারণে নামার আগে সেই আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারের সুযোগ টাইগাররা পাচ্ছেন ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে।
জিততে পারলে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়নস্ ট্রফির মূল পর্বের প্রথম ম্যাচে মোকাবেলা করবেন টাইগাররা।
এমন লক্ষ্য নিয়েই মঙ্গলবার (৩০ মে) কেনিংটন ওভালে বিরাট কোহলিদের মোকাবেলা করবেন মাশরাফিরা।
ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায়।
একথা ঠিক যে, শক্তিমত্তা ও মাঠের রণকৌশলে বাংলাদেশের তুলনায় ভারত যোজন যোজন এগিয়ে। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশ ছেড়ে কথা বলবে? নিশ্চয়ই না। সোমবার (২৯ মে) ওভালে তামিম ইকবালও সে রকমই বললেন, ‘এমন না যে, ভারতের সঙ্গে খেলিনি বা জিতিনি। আমরা খেলেছি এবং ওদের সঙ্গে ভালোও করেছি। আমাদের বোলাররাই ম্যাচ জিতিয়েছেন’।
সত্যিটাই বলেছেন তামিম। ভারতের বিপক্ষে এ পর্যন্ত খেলা ৩২টি ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে টাইগাররা ২৬টিতে হেরে গেলেও ৫টি ম্যাচে ঠিকই জয় পেয়েছেন। সর্বশেষ মাশরাফিরা ধোনিদের মোকাবেলা করেছিলেন ২০১৬ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, যেখানে মাত্র ১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল টিম বাংলাদেশকে।
তার আগের বছর ঘরের মাটিতে দেশটিকে সিরিজ হারের গ্লানি দিয়ে দেশে ফিরিয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। এছাড়া ২০১২ সালের এশিয়া কাপে শচীন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি ম্লান করে দেওয়া সেই জয়তো আছেই। যা ওই আসরের ফাইনালে খেলার আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছিল বাংলাদেশকে।
তাই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই যে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সেটা তামিম নিশ্চয়ই জানেন। ‘আমার কাছে মনে হয় ম্যাচটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ভারতের সঙ্গে খেলছি। এখানে ভালো করলে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে’।
‘আত্মবিশ্বাস’ নামক এই মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখেই মূলত দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতকে মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। দেখা যাক, টাইগাররা তাদের মিশনে সফল হন কি-না।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
এইচএল/এএসআর