ম্যাচ খেলার দিক দিয়ে এশিয়ার বাকি তিনটি দেশের থেকে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে ভারত। ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা একই গ্রুপে পড়লেও (‘বি’ গ্রুপ) বাংলাদেশ এশিয়ার হয়ে প্রদিনিধিত্ব করবে ‘এ’ গ্রুপে।
প্রতিটি দলের সাজানো স্কোয়াডে রয়েছে অভিজ্ঞ আর তরুণ তারকা ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা যোগ করলে এদিক দিয়ে এগিয়ে ভারত। ‘এ’ গ্রুপে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডকে টপকে শীর্ষে বাংলাদেশ।
ভারতীয় স্কোয়াড সাজানো হয়েছে অভিজ্ঞ তারকাদের নিয়েই। স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ১৫৮২ ওয়ানডে ম্যাচ। ভারতীয় দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিং ধোনী, যিনি খেলেছেন ২৮৬টি ম্যাচ। ১০০ এর বেশি ওয়ানডে খেলেছেন আরও ৬ জন ভারতীয় ক্রিকেটার।
শ্রীলঙ্কার সাজানো স্কোয়াডের ক্রিকেটারদের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ১৩৩০ ওয়ানডে ম্যাচ। দলে ৬ জন ক্রিকেটার আছেন যারা ১০০ এর অধিক ম্যাচ খেলেছেন। সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ উপুল থারাঙ্গা, তিনি খেলেছেন ২০১ টি ম্যাচ। তিন নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা (১২২৮ ম্যাচ)। প্রোটিয়াদের সবথেকে বেশি অভিজ্ঞ দলের অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স (২১৯টি)। চারজন ক্রিকেটার খেলেছেন ১০০ এর অধিক ম্যাচ।
আট দেশের মধ্যে চার নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে, গ্রুপ ‘এ’ তে বাংলাদেশ রয়েছে শীর্ষে। টাইগার স্কোয়াডের ক্রিকেটাররা সবমিলে খেলেছেন ১১৫৬ ম্যাচ। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ম্যাশের নামের পাশে রয়েছে ১৭৫টি একদিনের ম্যাচ। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের ১৪০ এর অধিক একদিনের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এছাড়া, নিউজিল্যান্ড স্কোয়াডের ক্রিকেটাররা খেলেছেন ১০৩৩ ম্যাচ। দলে চারজন ক্রিকেটার আছেন ১০০ এর অধিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রস টেইলার (১৮৭টি)। পাকিস্তান তরুণ দল গড়েছে। তাদের নামের পাশে ৮৮১ ম্যাচ। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শোয়েব মালিক (২৪৭টি ম্যাচ)।
স্বাগতিক ইংল্যান্ডের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতায় ৮০৮টি ওয়ানডে। দলে শুধুমাত্র অধিনায়ক ইয়ন মরগান ১০০ এর অধিক ম্যাচ খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়া খেলেছে সবচেয়ে কম ম্যাচ, ৬০৭টি ওয়ানডে। যাদের স্কোয়াডে ১০০ এর অধিক ম্যাচ খেলা কোনো ক্রিকেটার নেই। ৯৫টি ওয়ানডে খেলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলপতি স্টিভ স্মিথ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, ৩০ মে ২০১৭
এমআরপি