বিরাট কোহলিদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক এ ম্যাচে কিভাবে জিততে পারে বাংলাদেশ? টাইগার বাহিনীর জেতার জন্য এমন তিন মন্ত্র দিয়েছে ক্রিকইনফোর ট্যাকটিকস বোর্ড। কী সেই তিন মন্ত্র?তামিম-নির্ভরতা কমিয়ে দাঁড়াতে হবে টপঅর্ডারকে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গত তিন ম্যাচে বাংলাদেশিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত তামিমই ২২৩ রান করে সর্বোচ্চ সংগ্রাহকের তালিকায় রয়েছেন।
মোস্তাফিজকে জ্বলে উঠতে হবে, আঘাত করতে হবে ভারতের দুর্বল জায়গায়
বাংলাদেশের টপঅর্ডার যেখানে টালমাটাল সেখানে ভারতের টপঅর্ডার রীতিমত উড়ছে। গত তিন ম্যাচে তিন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি মিলে সংগ্রহ করেছেন ৬০৯ রান। সুতরাং ভারতের রানের ঘোড়ার লাগাম টানতে হলে বাংলাদেশের পেস অ্যাটাককেই সামনে আসতে হবে। এক্ষেত্রে অধিনায়ক মাশরাফির তুরুপের তাস মোস্তাফিজুর রহমানকেই অগ্রভাগে আসতে হবে। তাছাড়া, ভারতই এখন পর্যন্ত মোস্তাফিজের প্রিয় প্রতিপক্ষ বলে প্রমাণ হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিগত তিন ম্যাচেই তিনি ১৩টি উইকেট নিয়েছেন ১১.৫৩ গড়ে। এছাড়া টাইগার পেস অ্যাটাকের অন্যতম ভরসা রুবেল হোসেন, যিনি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন বারবার, তাকেও জ্বলে উঠতে হবে। এই রুবেল আবার বিরাট কোহলিকে সামনে পেলেই আগুন ঝরান। দু’পক্ষের বিগত চার লড়াইয়ে দু’বারই কোহলিকে আউট করেছেন রুবেল। সুতরাং কোহলি যে রানের ঘোড়া ছুটিয়েছেন তার সামনে বোলিংয়ের তলোয়ার নিয়ে রুবেলকে আবারও দাঁড়িয়ে যেতে হবে। জিততে হবে ডেথ ওভারের লড়াইয়ে
এবারের টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বোলিং সাদামাটা দেখালেও গত ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ডেথ ওভারে এখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আটটি দলের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা বাংলাদেশ। সাধারণত ধুমধাড়াক্কা এই ক্রিকেটে শেষ ১০ ওভারকে ডেথ বা স্লগ ওভার ধরা হয়। এই ডেথ ওভারে রান খরচের গড় ১০-১২ ছাড়িয়ে গেলেও বাংলাদেশি বোলাররা ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৬ দশমিক ৮ করে। অন্যদিকে ব্যাটিং ফর্মের তুঙ্গে থাকা ভারতীয়রা এই সময়ে অন্য দলগুলোর বোলার থেকে রান তুলে নিয়েছেন ওভারপ্রতি ৮.১৮ করে। ভারত যদি প্রথমে ব্যাট করে তবে বাংলাদেশের বোলাররা ডেথ ওভারে তাদের স্বরূপে আবির্ভূত হলে স্বাভাবিক রান সংগ্রহে ধাক্কা খেতে পারে বিরাট কোহলি বাহিনী। আর তাতে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে চাপমুক্ত থাকতে পারবে তামিম-সৌম্য-সাব্বির-মুশফিক-সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইনআপ।
এই তিন মন্ত্র কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ যে ১০ বছর পর ভারতের বিপক্ষে বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টে শেষ হাসি হাসতে পারবে- সে প্রত্যাশা করতেই পারেন টাইগারসমর্থকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
এইচএ/