ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ফিরলেন তামিম, মুশফিকের হাফ-সেঞ্চুরি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৯ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
ফিরলেন তামিম, মুশফিকের হাফ-সেঞ্চুরি ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাইভোল্টেজ সেমি ফাইনালের মঞ্চে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। দলীয় ৩১ রানের মাথায় দুই উইকেট হারালেও বাংলাদেশকে পথ হারাতে দেননি মুশফিক-তামিম। দুই ব্যাটসম্যানই হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।

এ রিপোর্ট লেখা অবধি বাংলাদেশ ২৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তুলেছে। তামিম ৭০ রানে বিদায় নেন।

মুশফিকুর রহিম ৫২ রানে ব্যাট করছেন। এই জুটিতে এসেছে ১২৩ রান।

লাল-সবুজের জার্সিধারীদের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকার ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করেন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিদায় নেন সৌম্য সরকার। ভুবনেশ্বর কুমারের ষষ্ঠ বলে বোল্ড হন তিনি। অনেক বাইরের বল স্টাম্পে টেনে বিপদ ডেকে আনেন সৌম্য। এরপর জুটি গড়েন তামিম-সাব্বির। ভালো শুরু হলেও এই জুটি টেকেনি সাব্বিরের ভুলে। শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী সাব্বির ইনিংসের সপ্তম ওভারে ভুবনেশ্বরের বলে ক্যাচ তুলে দেন জাদেজার হাতে। বিদায়ের আগে তিনি ২১ বলে চারটি চারের সাহায্যে করেন ১৯ রান। দলীয় ৩১ রানের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা।

ইনিংসের ১৩তম ওভারে বোল্ড হন তামিম। তবে, ‘নো বল’ হওয়ায় বেঁচে যান তিনি। এর আগের ফ্রি হিটেও ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তামিম। শুরুতেই সৌম্য, এরপর সাব্বিরের বিদায়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন তামিম ইকবাল। কিন্তু, এরপরই দুর্দান্তভাবে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে খোলস ছেড়ে বের হন তামিম। ইনিংসের ২৮তম ওভারে বিদায় নেন তামিম। যাদবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তামিম ৮২ বলে ৭টি চার আর ১টি ছক্কায় করেন ৭০ রান। মুশফিকের সঙ্গে ১২৩ রানের জুটি গড়েন তামিম। দলীয় ১৫৪ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় সেমিতে টস জিতে ভারতের দলপতি বিরাট কোহলি আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। টস জেতার পর স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক কোহলি। টস জিতলে ফিল্ডিং নিতেন মাশরাফি বিন মর্তুজাও। প্রথম সেমিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঐতিহাসিক মঞ্চের ফাইনালে নিজেদের নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই দ্বিতীয় সেমিতে ভারতের বিপক্ষে নেমেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বার্মিংহামের এজবাস্টনে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টা ৪০মিনিটে। টসের পর বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কিছুটা দেরিতে ম্যাচটি শুরু হয়।

আইসিসির কোনো ইভেন্টে এখন আর চমক নয় বাংলাদেশ। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে প্রায় প্রতিটি আসরেই নিজেদের প্রমাণ করেছে দলটি। আর এবার প্রথমবারের মতো আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে ইতোমধ্যেই ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে মাশরাফির বাংলাদেশ। ভারতকে হারাতে পারলেই তৈরি হবে আরও একটি ইতিহাস। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের মহারণে সামিল হবে টাইগাররা।

ওয়ানডে ফরম্যাটে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৩৩টি ম্যাচ খেলেছে। যেখানে ২৬টিতেই টিম ইন্ডিয়া জয় পেয়েছে। আর বাংলাদেশ নিজেদের করে নিতে পেরেছে ৫টি ম্যাচ। বাকি দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। এদিকে বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি যতটাই ইতিহাস গড়ার হাতছানি দিচ্ছে তার চেয়েও বড় ইতিহাস গড়ার হাতছানি ভারতের সামনে। কেননা এই ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে পারলে সর্বোচ্চ চতুর্থবারের মতো ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। আর শিরোপা জিততে পারলে সেটাও হবে সর্বোচ্চ। কেননা ২০০২ ও ২০১৩ সালের পর টানা দ্বিতীয় ও সর্বোচ্চ তিনবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’র চ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতবে ভারত।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান।

ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), যুবরাজ সিং, মহেন্দ্র সিং ধোনি (উইকেটরক্ষক), কেদার যাদব, হার্দিক পান্ডে, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, জাসপ্রিত বুমরাহ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ১৫ জুন, ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।