‘খুব ভাল একটি টুর্নামেন্ট গিয়েছে আমাদের জন্য। কেউ হয়তো বা চিন্তাও করেনি যে আমরা সেমি ফাইনাল খেলবো।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এজব্যাস্টনের সম্মেলন কক্ষে ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই গণমাধ্যমের সামনে হতাশা ব্যক্ত করেন লাল-সবুজের এই অধিনায়ক।
তামিম, মুশফিকের ১২৩ রানের জুটির পরে একটি জুটিও আর দাঁড়াতে পারেনি। যা ছিলো হতাশার।
এমন হারের পরেও সতীর্থদের ঘারে দোষ চাপিয়ে দিলেন না টাইগার দলপতি। তবে তাঁর কথায় মনে হল অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে তিনি দায়িত্বশীল ইনিংসই আশা করছিলেন।
‘আমরা খুব ভাল পথেই ছিলাম। একটা সময় তামিম ও মুশফিক পুরো খেলাটিই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। দূর্ভাগ্যবশত পরপর দুটি উইকেট পড়ে যাওয়াতে এবং সাকিব আউট হয়ে যাওয়াতে সমস্যা হয়ে গিয়েছে,’ বলেন মাশরাফি।
তবে শুধু ব্যাটসম্যানরাই নন, এমন হারে বোলারদের ভুমিকা কোন অংশে নয়। ৫টি ওভারের জন্যই ভারতের ব্যাটসম্যানদের কঠিন সময় তাঁরা উপহার দিতে পারেননি। যা দেয়ার কিছুটা মাশরাফিই দিয়েছেন।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে উঠার এই মিশনে বাংলাদেশের তরুণ বোলার; মোস্তাফিজ, তাসকিন, মোসাদ্দেকের ওপরে যেমন সমর্থকেরা ভাল বোলিং আশা করছিলেন তেমনি সৌম্য ও সাব্বিরের কাছ থেকেও দায়িত্বশীল ব্যাটিং আশা করছিলেন। কিন্তু কেউই নিজেদের কাজটি করে দেখাতে পারেননি।
তাতে অবশ্য মাশরাফি বিরক্ত নন, বরং তার কাছে বড় হয়ে ধরা দিয়েছে বৈশ্বিক মঞ্চে তরুণ এই টাইগারদের অপরিপক্কতার বিষয়টি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মানসিকভাবে আরও শক্ত হতে হবে। এই ধরণের অবস্থা অনেকবারই হয়েছে, যে আমরা ম্যাচটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি এরপরও হাতছাড়া হয়ে গেছে। ’
ওভারঅল টুর্নামেন্টে ভাললাগারমত আমাদের অনেক কিছুই আছে। এ ধরণের ম্যাচে কী করে আরও ভাল করা যায় সেটা আমাদের শিখতে হবে,’ বলেন মাশরাফি।
বার্মিংহামের এজব্যাস্টনে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে ভারতের কাছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। ফাইনাল খেলবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সময় ০০১৭ ঘণ্টা, ১৬ জুন ২০১৭
এইচএল/এমএমকে