সাঙ্গাকারার বিশ্বাস, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরবর্তী সিরিজের জন্য পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে দেশে ফিরবে টিম বাংলাদেশ এবং ২০১৯ বিশ্বকাপে শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার লক্ষ্যে বিচক্ষণ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবে। প্রসঙ্গত, আগস্টে দু’টি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ সফর করবে অজিরা।
আইসিসি ওয়েবসাইটে নিজের কলামে বাংলাদেশ-ভারত সেমির কথা তুলে ধরেন সাঙ্গাকারা, ‘এই ম্যাচটিতে বাংলাদেশ সব ডিপার্টমেন্টেই পরাস্ত হয়েছে, কিন্তু এখান থেকে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাথা উঁচু করেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের পরবর্তী সিরিজ খেলার জন্য ঢাকায় ফিরবে তারা। ’
আইসিসি ইভেন্টে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে প্রথম। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো পরাশক্তিদের পেছনে ফেলে শেষ চারে উঠে আসে মাশরাফির দল। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হারের শিকার হয়েছিল ইংলিশরা।
আগামী বিশ্বকাপে টাইগারদের উজ্জ্বল পারফরম্যান্স দেখছেন সাঙ্গাকারা, ‘গত কয়েক বছরে কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংয়ের অধীনে, ক্রিকেট বোর্ডের সমর্থন ও সাকিব আল হাসানের মতো কোয়ালিটি সিনিয়র খেলোয়াড়দের নিয়ে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। আইসিসির সবশেষ দু’টি মেগা ইভেন্টে তারা নকআউট স্টেজে পৌঁছেছে এবং সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার আশা নিয়ে তারা বিশ্বকাপের জন্য পরিকল্পনা শুরু করতে পারে। ’
গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্কোরবোর্ড তিনশ’ ছাড়ানো পুঁজি নিয়ে হার, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বৃষ্টির সুবাদে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ১ পয়েন্ট অর্জনে সেমির স্বপ্ন টিকে থাকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্তভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। ৩৩ রানে চার উইকেটে হারালেও ২২৪ রানের অবিশ্বাস্য জুটির রেকর্ড গড়ে দলকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
কিউইদের বিপক্ষে এমন সাহসী পারফরম্যান্স সাঙ্গাকারাকে ১৯৯৬ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার কথা মনে করিয়ে দেয়, ‘ধারাবাহিক ও শক্তিশালী দল হিসেবে বাংলাদেশ প্রমাণিত। বৃষ্টির কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টিকে ছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের সাহসী পারফরম্যান্স আমাকে ৯৬’র বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল। ’
চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। সবকটিতেই নিজেদের স্কোর রক্ষা করতে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় বোলিং অ্যাটাক। এর জন্য বোলিং বৈচিত্র্যের দুর্বলতাকে দায়ী করছেন সাঙ্গাকারা।
সবশেষে বাংলাদেশকে নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছেন তিনি, ‘বাংলাদেশ তাদের অর্জনে গর্ব করতে পারে। কিন্তু ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ সাধনার জন্য ফিরতে হলে বোলিংয়ে আরো বৈচিত্র্য খুঁজে বের করতে হবে। দেশে ও বিদেশের মাটিতে ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য একটি দল গঠনে সব উপাদান রয়েছে এদের মধ্যে। তাদের সামনে উত্তেজনাপূর্ণ সময় অপেক্ষা করছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ১৬ জুন, ২০১৭
এমআরএম