চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ মাঠে নামার আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছে। আমির সোহেলের কণ্ঠেই সেই সুর! এবারের আসরে পাকিস্তান ফাইনালে ওঠেনি, তাদের ওঠানো হয়েছে-এমনটাই দাবি করছেন সোহেল।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে কেউ কল্পনাতেও আনেনি পাকিস্তান ফাইনালে উঠবে, যদিও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতের ফাইনালে ওঠা নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না। গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল পাকিস্তান। পরের দুই ম্যাচেই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। সেমিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডে আট উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে পাকিস্তান।
অন্যদিকে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৯ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে ভারত।
ফাইনাল ম্যাচের আগে সোহেল জানান, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির তলানির দল হিসেবে এসেছিল পাকিস্তান। ভালো খেললে পাকিস্তানকে অবশ্যই শুভেচ্ছা জানাবো। কিন্তু, খারাপ খেললে তাদের সমালোচনা করব। পাকিস্তানের এই সাফল্যে আকাশে উড়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, আমরা জানি পাকিস্তানকে ফাইনালে তোলা হয়েছে। ’
এর আগেও আইসিসি তাদের মেগা ইভেন্টের সব আয়োজনে ব্যবসায়িক দিক ধরে রাখতে ভারত-পাকিস্তানকে একই গ্রুপে খেলাতো। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তাই হয়েছে। ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরেও তাই। এবারের টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। হেরে যাওয়া ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান, উঠেছে সেমিফাইনালে। লঙ্কানদের বিপক্ষে ডু অর ডাই ম্যাচের শেষ দিকে তিন তিনটি ক্যাচ হাতছাড়া করেছে লঙ্কানরা। আর সেই সুযোগকে শতভাগ কাজে লাগিয়েছে পাকিস্তান। সেমিতে ইংল্যান্ডকে হেসেখেলে উড়িয়ে দিয়ে এখন ফাইনালের অপেক্ষায় পাকিস্তান, অপেক্ষায় ক্রিকেটের সব সময়ের ব্যবসাসফল ম্যাচের (পাকিস্তান-ভারত)।
পাকিস্তানের সাবেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আমির সোহেলের দাবি, ‘পাতানো ম্যাচের সুবিধা নিয়েই এত দূর এসেছে পাকিস্তান! সরফরাজকে কারও বলা উচিত, তোমরা মহৎ কিছু করেছ ভাবার দরকার নেই। বাইরের কেউ তোমাদের এ জয় পাইয়ে দিয়েছে। আমি তাদের নাম মুখে নিতে চাই না, যারা পাকিস্তানকে কারসাজি করে ফাইনালে তুলেছে। আমরা সবাই জানি, পর্দার আড়ালে কী হয়! পাকিস্তান আসলে মাঠের খেলায় না, বাইরের হস্তক্ষেপে এখানে এসেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, ১৬ জুন ২০১৭
এমআরপি