সেমিফাইনালতো বটেই প্রস্তুতি ম্যাচ এবং গ্রুপ পর্বেও প্রত্যাশিত রূপে এ দুই ব্যাটসম্যান না জ্বলে উঠতে পারায় তাদের দলে রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
শুক্রবার (১৬ জুন) বার্মিংহামের হ্যাগলে স্ট্রিটে বাংলাদেশি এক হোটেলে দুপুরের খাবারের জন্য যাওয়া।
এ রিপোর্টারকে দেখে বেশ রেগে তারা বলতে শুরু করলেন, ‘শুধু শুধু কেন সৌম্য-সাব্বিরকে দলে রাখা হয়েছে? কী করেছে ওরা দলের জন্য। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এত খারাপ খেললে হয়? দেশে আরও কত প্লেয়ার আছে। তাদের নিলে কি হত?’
উত্তরে, বিষয়টি টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত বলা হলো। তাছাড়া ওরা গত তিন-চার বছর ধরে দলে নিয়মিত খেলছে। সেট বলেই হয়তো নতুন কাউকে টিম ম্যানেজমেন্ট নিতে চাইছে না। কারণ নতুন কেউ আসলে তাকে শিখিয়ে দলের পরিবেশে স্থায়ী করতে সময় লেগে যায়।
ওদের ঝাঁঝাঁলো উত্তর, ‘তাই করুক। এভাবে আর কতদিন?’
সৌম্য ও সাব্বিরের সম্প্রতি ব্যাটিং পারফরম্যান্স বিশ্লেষণে দেখা যায়, সৌম্য শেষ ১০ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন গত ১৯ মে, ডাবলিনে ত্রিদেশীয় সিরিজে স্বাগতিক আইরিশদের বিপক্ষে। একই ভেন্যুতে ১৭ মে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার সংগ্রহ ছিল ৬১।
আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে শুরু করে সেমিফাইনালসহ ছয় ম্যাচে তার রান যথাক্রমে ১৯, ২, ২৮, ৩, ৩, ০।
এদিকে সাব্বির রহমান তার শেষ ১০ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন গত ২৪ মে, ডাবলিনে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে ২৭ মে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাকে মাঠে নামানো হয়নি। দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ ও সেমিফাইনালসহ মোট পাঁচটিতে তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ০, ২৪, ৮, ৮ ও ১৯।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
এইচএল/জেডএস