বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দলপতি মাশরাফি। সেখানে তিনি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দেশে ফিরে মাশরাফি জানান, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে খেলেছি, অবশ্যই ভালো লেগেছে। আমরা বড় সুযোগ পেয়েছিলাম, সেটা কাজে লাগাতে না পারাটা আমাদের জন্য হতাশার। আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াতে হবে। প্রতিটি বড় ম্যাচেই মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। এবারের এই অভিজ্ঞতা ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ভালো কাজে দেবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসর তরুণদের জন্য শেখার প্লাটফর্ম ছিল। তরুণরা এবার যা শিখেছে তার প্রতিফলন পাবে বাংলাদেশ। দুই বছর পর আরও পরিণত হবে ওরা। ’
ত্রিদেশীয় সিরিজ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে গত ২৭ এপিল ঢাকা ছেড়েছিল বাংলাদেশ দল। ইংল্যান্ডের সাসেক্সে ১০ দিনের অনুশীলন ক্যাম্প শেষে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে আয়ারল্যান্ড যায় টাইগাররা। সেখানে আয়ারল্যান্ডের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও জয় পায় বাংলাদেশ। রানার্সআপ হওয়ার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো র্যাংকিংয়ে ছয়ে ওঠে আসে মাশরাফি বাহিনী।
বাংলাদেশের এই উন্নতির গ্রাফ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। মাশরাফির কণ্ঠেও তাই, ‘এখানেই শেষ নয়। এখন উন্নতির সময়। সামনে আরও বড় টুর্নামেন্ট বা সিরিজ আছে। সেগুলোয় ভালো করাটা এখন গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তীতে আরো অনেক বড় সুযোগ আসবে, যেটা আমরা ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারব। তরুণদের জন্য এসব টুর্নামেন্ট সহজ নয়। তাদের আরও উন্নতি করতে হবে। হয়তো প্রত্যাশা অনুযায়ী তারা ভালো খেলেনি। তবে ওদের ভালো ভবিষ্যৎ আছে। ২০১৯ বিশ্বকাপে তারা আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারবে। আশা করি, আমরা বিশ্বকাপে ভালো করব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ১৭ জুন ২০১৭
এমআরপি