এর উপর প্রতিপক্ষ যদি হয় ঐতিহাসিক শত্রু তাহলেতো কথাই নেই। ম্যাচকে ঘিরে অদৃশ্যভাবেই তৈরী হয় চাপ।
তবে, ভারতের জন্য আশার কথা হলো, স্নায়ুক্ষয়ী এই ম্যাচটিকে ঘিরে কোনো চাপই বোধ করছেন না অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বরং পাকিস্তানকে অন্য আট-দশটা প্রতিপক্ষ বিবেচনা করেই তারা ফাইনালের মহারণে মাঠে নামতে চাইছেন।
শনিবার (১৭ জুন) কেনিংটন ওভালে ম্যাচপূর্ব্ সংবাদ সম্মেলনে তেমনটিই জানালেন কোহলি, ‘আমরা এই ম্যাচটি নিয়ে মোটেও ভিন্নভাবে ভাবতে চাইছি না। অন্যান্য ম্যাচকে সামনে রেখে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে আমরা যেভাবে অনুশীলন করেছি আজ তার ব্যতিক্রম ছিল না। বাড়তি কিছুই করতে হয়নি আমাদের। তাছাড়া দলের সদস্যদের মধ্যে বাড়তি কোনো রোমাঞ্চও নেই। আমাদের কাছে এটা শুধুই অন্য আরেকটি ম্যাচ। তবে আমরা আমাদের সেরা খেলাটিই খেলতে সচেষ্ট থাকবো। ’
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের যে দলটি খেলছে সেই দলের অধিকাংশই নবাগত। শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ হাফিজ, সরফরাজ আহমেদ ও আহমেদ শেহজাদ ছাড়া বাদবাকি যারা আছে সবাই বয়সে তরুণ এবং এদের বিপক্ষে খুব কমই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ভারত।
এখানেই দলটির ভয় থাকার কথা। কেননা প্রতিপক্ষ অচেনা হলে, ভিডিও ফুটেজ না থাকায় তাদের বিপক্ষে খেলা যে কোনো দলের জন্যই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্ত কোহলির তেমন ভয় নেই। উপরন্তু তার কথা শুনে মনে হলো টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানকে মোকাবেলা করতে তিনি রীতিমতো মুখিয়ে আছেন।
কোহলি যোগ করেন, ‘আমি কখনওই ভিডিও ফুটেজে বিশ্বাস করি না। দলগতভাবে সব সময়ই আমাদের চেষ্টা থাকে সেরা প্রস্তুতির। আমি বিশ্বাস করি পাকিস্তানকে আরেকবার হারানোর জন্য যতটুকু ক্ষমতা থাকা দরকার তার পুরোটাই আমাদের আছে। ’
এমন অফুরাণ মনোবল ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে রোববার (১৮ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় কেনিংটন ওভালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের মহারণে চির বৈরী পাকিস্তানকে মোকোবেলা করবে বিরাট কোহলির ভারত।
স্থানীয় সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, ১৭ জুন ২০১৭
এইচএল/এমআরপি