তারপরও দেশটির স্পিনার হরভজন সিং দাবি করছেন, সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে পেয়ে খুব সহজেই ফাইনালের টিকিট কেটেছিল ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেমিফাইনাল নির্ধারণী ম্যাচে হারানোর পরই যেন ‘মনে মনে’ ফাইনালে উঠে গিয়েছিল ভারত।
এবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) হোমপেইজে ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিংয়ের লেখা একটি কলাম প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে হরভজন সিং লিখেছেন, ‘কেউ ভাবেনি যে আমরা সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে পাব। আমরা ছন্দে ছিলাম। আপনি যদি আগের আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোর সঙ্গে তুলনা করেন তাহলে সত্যিই আমাদের ফাইনালে উঠতে কষ্ট করতে হয়নি। জয়ী দল হিসেবে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারলে ভালো হতো। ’
সেমিফাইনালে ‘জয়’ ধরে নিয়ে শেবাগ-কোহলিরা প্রতিপক্ষকে অসম্মান করেছিলেন। হরভজনের এই লেখাতেও কি বাংলাদেশকে অসম্মান করা হলো না?
ক্রিকেট বোদ্ধারা অনেকেই হরভজন-গাঙ্গুলী-শেবাগকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, তারা যে শক্তিশালী ভারতীয় দলের কথা বলছেন, এই দল কি ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে নাকানি-চুবানি খেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়নি? তারকায় ঠাসা ভারতীয় দল ২০১৫ সালে বাংলাদেশে এসে ওয়ানডে সিরিজে নাস্তানাবুদ হয়ে যায়নি? কিংবা তারও আগে ২০১২ সালের এশিয়া কাপে টাইগারদের সামনে তো পাত্তাই পায়নি টিম ইন্ডিয়া।
সেমিতে ভারতের কাছে হারার পর বাংলাদেশকে নিয়ে আবারও বিদ্রূপ করেছিলেন শেবাগ। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে টুইটে পাকিস্তানকে ভারতের পুত্র ও বাংলাদেশকে ভারতের দৌহিত্র (মেয়ের ঘরের নাতি) মন্তব্য করেন তিনি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেও ভারত-বাংলাদেশ প্রস্তুতি ম্যাচে স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে হিন্দিতে ধারাভাষ্যের সময়ও বাংলাদেশকে ভারতের ‘নাতি বা দৌহিত্র’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন শেবাগ। উত্তর কি পাননি পাকিস্তানের কাছে লজ্জাজনক শোচনীয় হারের মধ্যদিয়ে?
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ২০ জুন ২০১৭
এমআরপি