এমনকি কুম্বলেকে ছাড়াই ইংল্যান্ড থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পথে উড়াল দিয়েছে ভারতীয় দল। তবে, বিসিসিআইয়ের কোনো কর্মকর্তা কুম্বলের পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করেননি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) উপদেষ্টা কমিটির (সিএসি) সঙ্গে এক সভায় কোচের পদে কুম্বলেকে নিয়ে নিজের আপত্তির কথা জানান কোহলি। প্রায় এক ঘণ্টার সেই বৈঠকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী ও ভিভিএস লক্ষ্মণের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি (সিএসি)। আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরি, মহাব্যবস্থাপক (ক্রিকেট) এমভি শ্রীধর ও সচিব অমিতাভ চৌধুরী। ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে যাওয়ার আগেই নাকি কোহলি জানিয়ে গেছেন নিজেদের পছন্দের কথা। তার পছন্দ সাবেক টিম ম্যানেজার রবি শাস্ত্রি। তবে, ৩১ মে কোচের পদে আবেদনের শেষ সময় বেধে দেওয়া হলেও শাস্ত্রি আবেদন করেননি। পরে কোহলি জানিয়েছেন, শাস্ত্রিকে নিয়োগ দেওয়া না হলেও যেন দলের কোচ হিসেবে কুম্বলেকে রাখা না হয়।
এদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরপরই শেষ হয়ে গেছে কুম্বলের মেয়াদ। নতুন করে কোচের পদে সাক্ষাৎকারের যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, তাতে আবেদন করেছিলেন কুম্বলে নিজেও। পাশাপাশি আবেদন করা প্রার্থীদের মধ্যে আছেন অস্ট্রেলীয় টম মুডি, ক্রেইগ ম্যাকডারমট, ইংলিশ কোচ রিচার্ড পাইবাসরা। ভারতের কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটারও আবেদন করেছেন।
সম্প্রতি গুঞ্জন ওঠে, কুম্বলে নিজেও নাকি এমন পরিস্থিতিতে নাখোশ, ব্যথিত ও বিব্রত ছিলেন। যেভাবে তাকে অযাচিতভাবে অপমান করা হয়েছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বিতর্কে জড়ানো হয়েছে, তা নাকি তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। তাই মেয়াদ শেষের পর ভারতীয় দলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছেন গত এক বছরে ভারতকে অনেক সাফল্য এনে দেওয়া কোচ কুম্বলে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫১ ঘণ্টা, ২০ জুন ২০১৭
এমআরপি