গত এক বছর ধরে ভারতের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ক্রিকেটের নিপাট ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত কুম্বলে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত তার মেয়াদ ছিল।
কুম্বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা তার পদত্যাগপত্রে জানিয়েছেন, ‘বিসিসিআইয়ের মাধ্যমে জানতে পারলাম, আমার কোচিংয়ের ধরন নিয়ে আপত্তি ছিল অধিনায়ক বিরাট কোহলির। কোচ হিসেবে সে আর আমাকে চাইছিল না। বিষয়টা জেনে বেশ অবাক হয়েছি। আমাদের জুটি আর এগিয়ে নেওয়া ঠিক হবে না। তাই আমি মনে করি, সরে দাঁড়ানোটাই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। নিরন্তর সমর্থনের জন্য ভারতীয় ক্রিকেটের অসংখ্য সমর্থককে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ’
সংবাদমাধ্যম গুলো থেকে আরও জানানো হচ্ছে, কোহলি-কুম্বলের জুটির স্থায়ীত্ব ছিল মাত্র ৬ মাস। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, গত ছয় মাস ধরে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেনি কোচ ও ক্যাপ্টেন। শচীন-সৌরভ-লক্ষ্ণণের ক্রিকেট অ্যাডভাইজারি কমিটি কুম্বলের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী হলেও কোহলি তাতে বাধ সাধেন। কোনোভাবেই কোহলি কুম্বলের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে ছিলেন না। অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কোচ হিসেবে দলের সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল কুম্বলের। ’
কুম্বলের পদত্যাগের আগে অ্যাডভাইজারি কমিটি পৃথকভাবে কোহলি এবং কুম্বলের সঙ্গে বসেছিলেন। এক সঙ্গে বসায় কোহলি-কুম্বলে পরস্পরের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। জানা যায়, কোচ-ক্যাপ্টেন সম্পর্কের চিড় ধরে গত বছর ডিসেম্বরে ইংল্যান্ড সিরিজের পর থেকেই।
ভারতকে গত এক বছরে অবিশ্বাস্য সাফল্য এনে দিলেও কুম্বলের কোচিং ‘স্টাইল’ নাকি পছন্দ হয়নি কোহলির। বিষয়টি স্পর্শকাতর বলেই হয়তো ভারতের সাবেক এই দলপতি নিজে থেকে সরে দাঁড়ান। আরও জানা যায়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের দু’দিন আগে টিম মিটিংয়ে আলোচনার একপর্যায়ে তর্ক বেধে যায় কোহলি আর কুম্বলের মধ্যে। এ সময় কোহলি বলেন, ‘দলের কেউই আপনাকে কোচ হিসেবে চায় না। ’ কুম্বলে নাকি এর উত্তরে বলেছিলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, আর না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ২২ জুন ২০১৭
এমআরপি