তবে কাঙ্খিত সেই ম্যাচটি তিনি কবে খেলবেন তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না। কিন্তু তার আত্মবিশ্বাসে ভরা কথা শুনে মনে হলো সেই সময়টি খুব বেশি দূরে নয়।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাব্বিরের আবির্ভাব ঘটেছিল একজন মারকুটে ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে। ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ওয়ানডেতে ২৫ বলে ৩ ছয় ও ৩ চারে ৪৪ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে জাত চিনিয়েছিলেন সাব্বির। তবে ওয়ানডের চেয়ে টি-২০ ফরমেটে তার ব্যাটিং ঝলক বেশি চোখে পড়েছে। সঙ্গত কারণেই টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট হিসেবে তার খ্যাতি ইতোমধ্যেই ক্রিকেট পাড়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
উদাহরণ হিসেবে গত বছর ঢাকার মাটিতে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটির কথাই ধরা যাক। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসদের বোলিংয়ের সামনে যখন মাশরাফিদের সকল ব্যাটসম্যানই ব্যর্থ তখন সাব্বিরের ৫৪ বলে ৮০ রানের দায়িত্বশীল এক ব্যাটিংয়ে ১৪৭ রানের সংগ্রহ এনে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। যা দিন শেষে আয়োজক দেশটিকে জয়ের উপলক্ষ্যও এনে দিয়েছিল।
কিন্তু হঠাৎ করেই যেন সেই দাপুটে ফর্মে নেই সাব্বির। তার শেষ ১০ ম্যাচের দিকে তাকালে দেখা যাবে, তিনি সর্বোচ্চ ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন গত ২৪ মে, ডাবলিনে, ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এছাড়া বলার মতো আর কোন ইনিংসই তার নেই।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বার্মিংহামে পাকিস্তানের বিপক্ষে (২৭ মে) প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে তাকে মাঠে নামানো হয়নি। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে থেকে শুরু করে টুর্নামেন্টের মূল পর্ব ও সেমিফাইনালসহ মোট পাঁচটিতে তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ০, ২৪, ৮, ৮ ও ১৯।
নিজের এমন দৈন্য ফর্মে তাই হতাশ মনে হলো সাব্বিরকে। তবে আশা করছেন শিগগিরই হতাশা ঘুঁচবে। অপেক্ষায় আছেন সেই কাঙ্খিত ম্যাচটির, ‘আসলে আমি খুব মরিয়া একটা ম্যাচ খেলার জন্য। কারণ আমি শেষ তিন চার ম্যাচ ভালো খেলতে পারিনি। ওই স্মৃতি আমাকে ভেতরে খোঁচা দেয়। তবে সামনে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ যে সিরিজই হোক না সেখানে যে কোনো একটি ম্যাচ ভালো খেলে যেন খারাপ স্মৃতিগুলো ভুলতে পারি। ’
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি একথা বলেন।
এসময় সাব্বিরের কাছে জানতে চাওয়া হয় টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের মধ্যে কোনটিকে তিনি চ্যালেঞ্জিং মনে করেন? সাব্বিরের উত্তর, ‘তিনটি ফরমেটই চ্যালেঞ্জ। তবে আমি যদি সেটা মনে করি তাহলে বেশি চ্যালেঞ্জ মনে হবে। আমি যে ফরমেটেই খেলি না কেন লাল বল বা সাদা বল; নিজের খেলাটি খেলতে পারি তাহলেই হবে। আমার বিশ্বাস আমি আমার সেরাটিই দিতে পারবো। ’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর টেস্টে এই পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলে তিনটি অর্ধশতক সমেত সাব্বিরের রান ৩৩০। ওয়ানডেতে ৪৩ ম্যাচে ৫টি অর্ধশতকে করেছেন ৯১০। আর টি-টোয়িন্টিতে ৩১ ম্যাচে তিনটি অর্ধশতক তুলে নিয়ে থলিতে পুরেছেন ৭২১ রান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ২০ জুলাই ২০১৭
এইচএল/এমআরএম