ক’দিন আগেই বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে রাজি ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। তারা এখনও রাজি।
আসলেই কি সব ঠিক? ক্রিকেটারদের তো আসার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না! অস্ট্রেলিয়া তাহলে কাদের খেলতে পাঠাবে? অথচ, ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে আগামী ১৮ আগস্ট অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশে আসার কথা!
এমন প্রশ্ন উঠছে গতকাল থেকেই। সবশেষ খবরে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা নিভতে বসেছে। দেশটির সিনিয়র ক্রিকেটাররা আরেকধাপ আলোচনার টেবিলে বসেছিলেন। সেখানে জানিয়েছেন, প্রয়োজনে অন্তর্বর্তী একটি চুক্তি করেও নাকি বাংলাদেশ সফরে আসতে রাজি। তারা এমনই অনুরোধ জানিয়েছেন বোর্ডকে। সেটা ক্রিকেটের জন্য স্বস্তির। তবে, তার আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ) ক্রিকেটারদের দাবি মেনে নিতেই হবে। এমন শর্ত জুড়ে দেওয়ায় এটা আবার বোর্ডের জন্য, ক্রিকেটের জন্য অস্বস্তির। দ্রুত এ ব্যাপারে মতৈক্য না হলে বাংলাদেশ সফর বয়কটের ঘোষণা দেবেন ক্রিকেটাররা। সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভোটেই নেওয়া হয়েছে সিরিজ বয়কটের সিদ্ধান্ত।
সিডনিতে খেলোয়াড়দের সংগঠনের প্রধান নির্বাহী অ্যালিস্টার নিকলসনের সঙ্গে সবশেষ আলোচনায় বসেছিলেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশ সফর সামনে রেখে ১০ আগস্ট থেকে ডারউইনে শুরু হতে যাওয়া প্রস্তুতি ক্যাম্পে ক্রিকেটাররা যোগ দেবেন। কিন্তু সিএর সঙ্গে ক্রিকেটারদের চুক্তি না হলে বাংলাদেশের বিমানে তারা উঠবেন না।
উল্লেখ্য, এর আগে ক্রিকেট বোর্ডের সাথে গত সপ্তাহে ক্রিকেটারদের আলোচনা ভেস্তে যায়। বেতন-ভাতা নিয়ে বিরোধের জেরে চলতি মাস থেকে বেকার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ২৩০ ক্রিকেটার। সিডনির গোপন ভোটাভুটির এমন খবর উড়িয়ে দেওয়ারও উপায় নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য প্রস্তুতি ক্যাম্প করেছিল অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দল। তবে, বোর্ডের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সিরিজের আগে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলও হেঁটেছে বয়কটের পথেই। তাই, অস্ট্রেলিয়ানদের বাংলাদেশ সফর নিয়ে নতুন করে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই ২০১৭
এমআরপি