বুধবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে এভাবেই আনুষ্ঠানিকভাবে দুখপ্রকাশ করেন, ‘আমি নিজেও একজন প্লেয়ার ছিলাম তাই প্লেয়ারদেরও আমি ভালবাসি। যেহেতু হঠাৎ করে শুনলাম মুশফিক চলে যাবে তাই ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে আমার নিজের কাছে খারাপ লাগলো যে আমাকে না বলে চলে যাবে? তখন আমি ওই কথা বলেছিলাম।
এসময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দায় মল্লিক ও বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
আরও পড়ুন...বরিশাল বুলসকে ‘ফকিরনি’ বলেছিলেন মুশফিক
আর বিষয়টিকে ভুল বোঝাবুঝি উল্লেখ করে বিপিএল গভনিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ইসমাইল হায়দার মল্রিক বলেন, ‘একটা মন্তব্য নিয়ে ভুলু ভাইর সাথে মুশফিকের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মুশফিকও কষ্ট পেয়েছিল। এটার ব্যাপারে আমরা গভর্নিং কাউন্সিল থেকে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। আমাদের চিঠির মাধ্যমে উত্তরও সে দিয়েছে। ইস্যুটা নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করেছি এবং মুশফিকের সাথেও বসেছি। এ ব্যাপারটাতে উনি পুরোপুরিভাবে দু:খিত। এটা সম্পূর্ণই ভুল বোঝাবুঝি। উনি আসলে কিছু না বুঝেই বলেছেন। অনাকাঙ্খিতভাবে ঘটনাটি ঘটে গেছে। মুশফিকও বিষয়টি স্পোর্টিংলি নিয়েছে। বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিরা নিজের অবস্থান থেকে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলে। তাহলে আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। ’
উল্লেখ্য ১৪ জুলাই একটি প্রাইভেট টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে মুশফিকের শৃঙ্খলাবোধ ও দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভুলু। সেই দিনই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে গণমাধ্যমের সামনে ভুলুর এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন টাইগার টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ২৬ জুলাই ২০১৭
এইচএল/এমএমএস