সেখানে চলবে বিসিবির এই গেমস ডেভলপমেন্ট বিভাগ প্রধানের চিকিৎসা। তবে তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ইউনাইটেড হাসপাতালে সুজনকে দেখতে যান বিসিবি প্রেসিডেন্ট পাপন। সংবাদ মাধ্যমকে বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গতকাল যখন ও (সুজন) এখানে আসলো তখন অচেতন ছিলো। এবং কোনোরকম নড়াচড়া ছিল না বলে সাথে সাথে আইসিউইতে রাখা হয়েছিল। আমরা খুবই চিন্তিত ছিলাম। তাই গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিক সিদ্ধান্ত নেয় যে তাকে বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হবে। ’
‘সেই অনুযায়ী আমরা সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এমআরআই টেস্ট বাকি ছিল, আজকে সকালে করেছে। ওর এমআরআই করে ডাক্তার তেমন কিছু পাননি। তবে সংকটমুক্ত নয়। আগের চেয়ে ভালো। যেহেতু আগের চেয়ে ভালো তাই আমরা ঠিক করেছি আজ রাত ১১টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস দু’তিন দিনের মধ্যে সুজন একদম সুস্থ হয়ে যাবে। ’
তবে ভাবনার বিষয় হলো সুজনের কী হয়েছে সেটা কেউই বলতে পারছে না। না চিকিৎসক, না তার পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে পাপনের ভাষ্য, ‘সত্যি কথা বলতে এই মুহূর্তে কেউ কিছু বলছে না। যাকেই জিজ্ঞেস করছি কেউ নির্দিষ্ট করে উত্তর দিতে পারছে না। তবে তার ছেলে ও স্ত্রীর সাথে কথা হয়নি। ওর ভাইবোনদের দেখেছি কিন্তু তারা কিছুই বলছে না। তাই এটা বলা খুব কঠিন। আমি জানি না। ডাক্তাররাও কিছুই বলে নাই কেন এই অবস্থা হলো। আমার ধারণা সবার আগে তার সুস্থ হওয়া দরকার। সে সুস্থ হলে তার কাছ থেকেই জানতে পারবো। ’
এদিকে সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে যাচ্ছেন একজন চিকিৎসক। আর পরিবারের পক্ষ থেকে যাচ্ছেন তার ভাই, ‘ওর সাথে আপাতত বিসিবি থেকে একজন ডাক্তার যাচ্ছে। আর তার পরিবারের কারোই ভিসা নেই যে আজকেই চলে যেতে পারবে। দুই তিনদিন হয়তো লাগবে ভিসা করতে। তার বড় ভাই আছে যার আমেরিকান পাসপোর্ট তাই ভিসা লাগবে না। সেজন্য সাথে উনি যাচ্ছে। ’
গত শনিবার (২৯ জুলাই) গভীর রাতে নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়া হয় জাতীয় দলের সাবেক দলপতি এবং বোর্ড পরিচালক সুজনকে। সেখানে তার অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় পরদিন ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ৩১ জুলাই, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম