শুধু তিনিই নন, যেহেতু অজিদের বিপক্ষে প্রায় এক যুগ পরে টাইগাররা মাঠে নামছে সেহেতু পুরো শিবিরই সিরিজটি নিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত বলে জানালেন মুশি। কেননা সাদা পোশাকে বাংলাদেশ সবশেষ অস্ট্রেলিয়াকে মোকাবেলা করেছিল ২০০৬ সালে।
মুশফিক জানান, ‘শুধু আমি না, পুরো দলই রোমাঞ্চিত। ১২ বছর খেলার পরও অস্ট্রেলিয়ার সাথে একটা টেস্টও খেলার সুযোগ হয়নি। ’
অস্ট্রেলিয়া সিরিজটি দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের আরেকবার প্রমাণের দারুণ একটি ক্ষেত্র তৈরি হবে বলে বিশ্বাস সাদা পোশাকের দলপতির, ‘সব ঠিকঠাক থাকলে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ। কারণ বাংলাদেশ দল বিগত বছরগুলোতে যেভাবে ভালো খেলছে তাতে অস্ট্রেলিয়ার মতো এতবড় একটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের সাথে যদি আরও ভালো খেলতে পারি তাহলে বিশ্ব ক্রিকেটকে একটা অন্যরকম বার্তা দেয়া হবে। ’
আর এক্ষেত্রে তার প্রেরণা হিসেবে কাজ করছে গেল বছর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সেই জয়, ‘আমরা যে খেলাটা গত বছর ইংল্যান্ডের সাথে খেলতে চেষ্টা করেছি। সেই ধারাবাহিকতা আমরা ধরে রাখতে চেষ্টা করবো। ’
ঘরের মাটিতে খেলা। কন্ডিশন, উইকেট সব কিছুই নিজেদের অনুকূলে। তা সত্বেও পা মাটিতে রাখছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল, ‘কাজটি সহজ হবে না। কারণ আপনারা জানেন উপমহাদেশে ওদের রেকর্ড ভালো। সম্প্রতি ভারত সফরেও ওরা ভালো খেলে গেছে। ’
অস্ট্রেলিয়ার সাথে এই পর্যন্ত চারটি টেস্ট খেলে একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ সফরে আসছেন স্টিভ স্মিথরা। ২২ দিনের বাংলাদেশ সফরে এসে ২২ ও ২৩ তারিখ ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে একটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের পর ২৭-৩১ আগস্ট মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিক বাংলাদেশকে মোকাবেলা করবে স্টিভ স্মিথ ও তার দল।
এরপর ৪-৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে চট্টগ্রামে জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুশফিকদের মোকাবেলা করবে টিম অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ০১ আগস্ট ২০১৭
এইচএল/এমআরপি