সম্প্রতি, ভারতীয় সংসদে উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় দিনের পর দিন গরহাজির থাকায় টেন্ডুলকারের সমালোচনা হয়। সমাজবাদী পার্টির সদস্য নরেশ আগরওয়াল রাজ্যসভায় সকলের উপস্থিতিতে বলেছিলেন, দিনের পর দিন টেন্ডুলকার সভায় আসেন না।
গত বছর রাজ্যসভায় মোট কার্য দিবসের মাত্র ৭ ভাগ উপস্থিত ছিলেন এই মাস্টার-ব্লাস্টার। ছয় বছরে ছয়বারও সভায় যোগ না দেওয়ায় এর আগেও টেন্ডুলকারের সমালোচনা হয়েছিল। কিন্তু, তাতে গড়হাজিরা মোটেও বাড়েনি লিটল মাস্টারের। অবশেষে সভায় যোগ দিয়েছিলেন টেন্ডুলকার। তবে রাজ্য সভায় অংশ নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেননি। যেখানে তাকে মুখ গোমড়া করে বসে থাকতে দেখা যায়। তাতেই হাসির রোল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। টেন্ডুলকারকে অধিবেশনে দেখে টুইটারে ঝড় তুলে দেন ভারতীয়রা। অনেকেই ছবিটি পোস্ট করে ট্রল করা শুরু করে দেন। অশোক খান্না লিখেছেন, ‘আরে ভুল দেখছি না তো, রাজ্যসভায় হ্যালির ধূমকেতু!’ মদন নামের একজনের টুইট, ‘যখন আপনি নতুন স্কুলের ছাত্র এবং আপনার পাশে কেউ বসছে না। ’
টেন্ডুলকারের মুখাবয়ব উল্লেখ করে সুইস লিবারেল টুইট করেছে, ‘আমি, যখন আমার বাসায় প্রতিবেশিরা আসে। ’ অদিতির টুইট, ‘যখন শিক্ষকরা আদেশ দেন-৭৫ পারসেন্ট উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। ’ সম্প্রতি নিজের বায়োপিক ‘শচীন দ্য বিলিয়ন ড্রিমস’ এর প্রচারণায় ব্যস্ত টেন্ডুলকার। সেটিকে মনে করিয়ে দিয়ে ক্রিপটিক মাইন্ড নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী মজার ছলে লিখেছেন,
শচীন: আমি রাজসভায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে চাই।
স্পিকার: বলো।
শচীন: আপনি কি আমার ‘শচীন দ্য বিলিয়ন ড্রিমস’ দেখেছেন?
স্পিকার: (নিশ্চুপ...)
উল্লেখ্য, সমাজের বিভিন্ন অংশের সেলিব্রেটিদের সম্মাননা জানাতে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভায় মোট ১২ জনকে মনোনীত করতে পারেন। যারা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অভিমত সরকারকে জানাতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ০৪ আগস্ট ২০১৭
এমআরপি