তবে, আইসিসির সাবেক সভাপতি এহসান মানি জানিয়েছেন, সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) না মানায় বিসিসিআইয়ের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে পিসিবির দায়ের করা মামলার ভিত্তি খুবই দুর্বল। তাতে, ভারতের কাছ থেকে পাকিস্তানের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে।
দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ নিয়ে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে ২০১৪ সালে যে চুক্তি হয়েছিল সেই চুক্তি মানেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলা হয়নি ভারতের। পিসিবির দাবি এর ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে তাদের বোর্ড। ক্ষতির পরিমান ১ বিলিয়ন রুপি। পিসিবির চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান জানান, ‘ইতোমধ্যে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্রিটিশ আইন বিষয়ক একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আইসিসির বিরোধ সংক্রান্ত কমিটির কাছে নালিশ করেছি। ভারত দ্বি-পাক্ষিক সিরিজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় আমরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছি। আমাদের সম্প্রচার সত্ত্বেও ঝামেলা হচ্ছে। কারণ, সেখানে পরিস্কার উল্লেখ ছিল ভারত-পাকিস্তান সিরিজ না হলে অন্য সিরিজের ক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণ কমে যাবে। ’
এদিকে, ৭২ বছর বয়সী মানি জানান, ‘আইসিসির একটি সূত্র আমাকে জানিয়েছে, পাকিস্তানের কোনো সম্ভাবনা নেই ক্ষতির অর্থ তুলে নেওয়ার। কারণ, পাকিস্তানের উচিৎ ছিল চুক্তিটি সবাইকে দেখানো। ক্ষতিপূরণের দাবি করা যায় কি-না সেটা দেখানো উচিৎ ছিল। পিসিবির করা মামলা খুবই দুর্বল। আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পিসিবির বোর্ড অব গভর্নর্সের (বিওজি) দেওয়া দেড় কোটি পাকিস্তানি রুপি শুধু শুধুই খরচ হবে। কোনো ফল পাবে না পাকিস্তান। আর লড়াই করে সব সমস্যার সমাধান হয় না। মধ্যবর্তী একটা পথ বেছে নিলেও পারতো পাকিস্তান। কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে ভারত। চাইলে ভারত সব দেশকেই তাদের পাশে পাবে। তাতে কিন্তু পাকিস্তান একা হয়ে যাবে। এমনিতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তান একঘরে অবস্থায় আছে। ’
চুক্তি অনুযায়ী ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছয়টি দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলার কথা ছিল ভারত-পাকিস্তানের। শুধুমাত্র বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ০৬ আগস্ট ২০১৭
এমআরপি