একাডেমি মাঠ, জিম এমনকি ইনডোরেও নির্বিঘ্নে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে জুনিয়র টাইগাররা। যেটা জাতীয় দল এবং এইচপি দল থাকলে সম্ভব হয় না।
রোববার (৬ আগস্ট) শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে সংবাদমাধ্যমের সামনে রাইট জানান, ‘আমার মনে হয় অনুশীলনের সত্যিকারের সৌন্দর্যটা আমি এখন দেখতে পাচ্ছি। জাতীয় দল চট্টগ্রামে, এইচপি দলও নেই। শুধুমাত্র আমরাই একাডেমি ও ইনডোরের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা শতভাগ কাজে লাগাতে পারছি। ’
২০১৮ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে রাইটের অধীনে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে অনুশীলন শুরু করেছে লাল-সবুজের যুবারা। ক্যাম্পে প্রতিনিয়তই চলছে ফিটনেস, ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং অনুশীলন। সবকিছু মিলে অনুশীলন ক্যাম্পটি দারুণ চলছে বলে মত কোচের, ‘এই মুহূর্তে আমাদের প্রস্তুতি দারুণ চলছে। আমি আমার ছেলেদের উপর দারুণ খুশি। ’
যুবাদের বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও পাঁচ মাস বাকি। এমন বৈশ্বিক আসরকে সামনে রেখে অন্যান্য আন্তর্জাতিক দলের সাথে এখনও কোনো ম্যাচ আয়োজন করতে পারেনি ম্যানেজমেন্ট। ফলে স্বন্দেহতীতভাবেই প্লেয়ারদের সীমাদ্ধতা থাকার কথা। কিন্তু কোচ সেটা মনে করছেন না। এক্ষেত্রে তাকে আরও সাহসী করে তুলছে, চলতি মাসে এইচপি দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ ও সেপ্টেম্বরে নিজেদের মাটিতে অনুষ্ঠেয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডে।
রাইট আরও জানান, ‘আমরা কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু বিশ্বকাপ এখনও অনেক দূরে। আমরা আমাদের সেরা প্রস্তুতিই নিচ্ছি। সামনে এইচপি দলের বিপক্ষে আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। আপনারা জানেন, এইচপি দলের প্লেয়াররা যথেষ্টই মানসম্পন্ন। তাই আমার মনে হয় এটাই আমার ছেলেদের ঝালিয়ে নেয়ার একটি দারুণ সুযোগ। তাছাড়া আফগানিস্তানের সাথেও সিরিজ খেলার আলোচনা চলছে। সব মিলিয়ে আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। ’
নিউজিল্যান্ডে কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্ট শুরু হলেই সবার আগে যে বিষয়টি প্রতিপক্ষের ভাবনায় আসে সেটা হলো, ওখানকার কন্ডিশন। প্রচণ্ড ঠান্ডা আর হুহু বাতাসে সাপের মতো ছোবল মারা সুইং যে কোনো দলেরই মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্ত এক্ষেত্রে কোচ বেশ নির্ভার, ‘আমি নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন নিয়ে ভাবছি না। কেননা কন্ডিশন আমাদের জন্য কোনো ইস্যুই না। ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ আমাদের জন্য চাপ হয়ে দাঁড়াবে। ওখানকার কন্ডিশনে বল বাউন্স করবে, মুভ করবে, অস্বাভাবিক সুইং করবে ঠিকই। তাই কন্ডিশনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে আমরা ডিসেম্বরের ২৬ তারিখেই দেশ ছাড়বো। ’
২০১৮ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। আর সেই লক্ষ্যে প্রতিদিনই মিরপুরে ব্যাটে-বলে ঘাম ঝরাচ্ছেন টাইগার যুবারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, ৬ আগস্ট ২০১৭
এইচএল/এমআরপি