ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, বিসিসিআইকে আদালত নির্দেশ দেয়, শ্রীশান্তের ওপর থেকে আজীবন নিষেধাজ্ঞার শাস্তি তুলে নেওয়ার।
এর আগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর গত মার্চে বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা মামলা করেন এই ক্রিকেটার।
একই সময়ে নির্বাসিত হয়েছিল দুই ক্লাব চেন্নাই ও রাজস্থান। সেই দুই ক্লাবকে আগামী মৌসুমে ফিরিয়ে আনা হয়েছে আইপিএলে। তবে শ্রীশান্ত কেন নয়? এমন প্রশ্নও উঠেছিল। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট শ্রীশান্তকে ছাড় দিলেও, বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই রায় তার ওপর থেকে নির্বাসন তুলে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। পরে বিসিসিআইয়ের কার্যকরী কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, শ্রীশান্তের ওপর নির্বাসনের বোঝা রেখেই দেওয়া হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেরালা হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর বিসিসিআই কী সিদ্ধান্ত নেবে? এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার তরফ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এখন বোর্ড এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কিনা সেটাও দেখতে হবে৷ বোর্ডের মন্তব্য পাওয়া না গেলেও মন্তব্য পাওয়া গেছে ৩৪ বছর বয়সী শ্রীশান্তের। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার এখন স্বপ্ন ভারতের জার্সিতে ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলা। আমি জানি এটা খুবই কঠিন পথ। কিন্তু বিশ্বকাপ খেলাটা আমার জন্য মিরাকল হবে। ভারতীয় জাতীয় দলে ঢুকতে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই থাকবে। ফাস্ট বোলার হিসেবে আমার পথটা আরও কঠিন হতে পারে। আশা করছি আমার প্রতিভা যেটুকু আছে তা দিয়েই আমি জাতীয় দলে খেলবো। ’
স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে জেলহাজতে থাকার সময় শ্রীশান্ত আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। গ্রেপ্তার হয়ে তিহার জেলে থাকার দুঃস্বপ্নমাখা সেই অনুভূতি নাকি তাকে অনেকবারই আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ০৮ আগস্ট, ২০১৭
এমএমএস/এমআরপি