কেননা এই নিরাপত্তার খোড়া অযুহাত দেখিয়েই ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সাখে সিরিজ স্থগিত করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। পরে বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দল পাঠায়নি তারা।
কেমন হবে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা? জানতে চাওয়া হয়েছিল বিসিবি’র উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার কাছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানালেন, ‘১৮ আগস্ট অস্ট্রেলিয়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর সেখানে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) ও সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
বিমানবন্দরে থেকে টিম হোটেল পর্যন্ত থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। টিম হোটেলেও থাকছে তিন স্তরের নিরাপত্তা। হেটেলের ভেতরে, চত্বরে এবং বাইরে রাস্তায় ও ভবনের ছাদে ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চৌকস সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও হোটেলের অভ্যন্তরে থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি ডেস্ক। ’
আর টিম হোটেল থেকে ভেন্যু পর্যন্ত স্টিভ স্মিথদের চলাচলের সময় নির্ধারিত রাস্তায় কোন যানবাহন থাকবে না, মানুষ চলাচলও বন্ধ থাকবে। হোটেল থেকে ভেন্যুতে না পৌঁছানো পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।
ওই সময় টিম বাসের বহরে পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিস থাকবে এবং রাস্তায় ও তার পাশের ভবনে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দল ভেন্যুতে পৌঁছানোর পর ভেন্যু, আশপাশের বাড়ির ছাদ, ভেন্যু চত্বর ও রাস্তায় পুলিশের পাশাপাশি থাকবে গোয়েন্দা বাহিনীর সতর্ক নজরদারি।
তবে প্রয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়ানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিসিবির এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন, ফায়ার সার্ভিস ও গোয়েন্দা বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তার প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সহাবস্থান থাকবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ৮ আগস্ট ২০১৭
এইচএল/এমআরএম