টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ১৭ বছরের মাথায় এসে শততম টেস্টে পা রাখে বাংলাদেশ। গত মার্চে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের ঐতিহাসিক ম্যাচটি জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখে টাইগাররা।
বোঝাই যাচ্ছে, কতটা কম সংখ্যক টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ দল। পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা না থাকাটাই এর অন্যতম কারণ ছিল। এমনও সময় গেছে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য এক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।
সেটি এখন অতীত! সময়ের পরিক্রমায় সীমিত ওভারের ক্রিকেটের পাশাপাশি বদলে যাওয়া টিম বাংলাদেশের টেস্টের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স উজ্জ্বল। সামনে টানা চারটি টেস্টের সূচি। অজিদের বিপক্ষে হোম সিরিজের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শুরুটা হবে টেস্ট দিয়ে।
জাতীয় দলে আসার পর তামিম ও সাকিব এখন পর্যন্ত ৪৯টি টেস্ট খেলেছেন। এ সময়ে বিভিন্ন দেশের ৫১ জন ক্রিকেটার এর চেয়ে বেশি সংখ্যক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড, জেমস অ্যান্ডারসন ও সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক খেলে ফেলেছেন ১০০টির অধিক।
এ প্রসঙ্গে তামিমের ভাষ্য, ‘এই সময়টাতে আমাদের ৭৫-৮০টি ম্যাচ খেলা উচিৎ ছিল। একটা সময় ছিল যখন আমরা বছরে দু’টি ও তিনটি ম্যাচ খেলতে অভ্যস্ত ছিলাম। আমি আমার ম্যাচ সংখ্যা নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম। ভেবেছিলাম ৫০টি টেস্টও খেলতে পারবো না। ’
সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। একেবারে যে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো অধিক টেস্ট খেলার সুযোগ মিলবে তাও কিন্তু নয়। লংগার ভার্সনে নিয়মিত হওয়াটাই আশাবাদী করছে তামিমকে, ‘আশা করছি পরবর্তী ছয় বছরে বিগত ১০ বছরের তুলনায় আমরা বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলবো। লংগার ফরমেটে আমি অন্তত ১০০টি টেস্ট খেলতে চাই। ’
টেস্টে ৩৯.৫৩ গড়ে ৩৬৭৭ রান করেছেন তামিম। ২২টি অর্ধশতকের পাশাপাশি ৮টি সেঞ্চুরির মালিক এ অভিজ্ঞ ওপেনার। অন্যদিকে ৪০.৯২ গড়ে অলরাউন্ডার সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪৭৯ রান। ২১টি ফিফটি ও শতক হাঁকিয়েছেন ৫ বার। বোলিংয়ে উইকেট নিয়েছেন ১৭৬টি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এর পরেই আছেন বর্তমান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম (৫৪)। সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের নামের পাশে ৫০টি টেস্ট। তাকে ছোঁয়ার অপেক্ষায় তামিম-সাকিব।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, ৯ আগস্ট, ২০১৭
এমআরএম