তাতেই আবারো ক্রিকেটে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন শ্রীশান্ত। কিন্তু, এখনও নিষেধাজ্ঞাই উঠেনি এই পেসারের।
এর আগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর গত মার্চে বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা মামলা করেন এই ক্রিকেটার। ২০১৩ সালের আইপিএল ঘিরেই ঘটেছিল এই গড়াপেটা ও স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা। ২০১৫’তে দিল্লির এক আদালত তার নির্বাসন তুলে নেওয়ার কথাও বলেছিল। কিন্তু, বিসিসিআই তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল। তখনও দেশের বাইরে খেলার জন্য এনওসি চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন শ্রীশান্ত।
এনওসি চেয়ে চিঠি পাঠালে বোর্ডের মন্তব্য পাওয়া না গেলেও মন্তব্য পাওয়া গেছে ৩৪ বছর বয়সী শ্রীশান্তের। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার এখন স্বপ্ন ভারতের জার্সিতে ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলা। তার আগে দেশের বাইরে খেলতে চাই। আমি বোর্ডকে অনুরোধ করছি আমাকে স্কটল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য। যত দ্রুত সম্ভব আমাকে যেন সেখানে খেলতে দেওয়া হয়। একই সাথে বোর্ডকে অনুরোধ করছি আমাকে যেন সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। কেরালা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আমাকে ক্রিকেটে ফেরার সকল সুযোগ দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে। রাজ্য ক্রিকেটে আমি কেরালার হয়ে খেলার সুযোগ চাইছি। ’
গত বছরও সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ভারতীয় ফাস্ট বোলার শ্রীশান্ত সুযোগ পেয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের স্থানীয় একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। স্কটল্যান্ডের গ্লেনর্থ ক্লাব তাকে আমন্ত্রণ জানালেও বিপত্তি বাঁধে অনাপত্তিপত্র পাওয়া নিয়ে। বিসিসিআইয়ের অনুমতি পেতে আদালত পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছিল তাকে। বারবার ছাড়পত্রের জন্য বোর্ডের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনো উত্তর পাননি।
এবারো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র না পাওয়ায় আপাতত মাঠের বাইরেই থাকতে হচ্ছে এই তারকা বোলারকে। ২৭টি টেস্টে ৮৭ ও এবং ৫৩টি একদিনের ম্যাচ খেলে ৭৫ উইকেটে নিয়েছেন শ্রীশান্ত। ভারতকে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি এবং ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। কথিত আছে, স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে জেলহাজতে থাকার সময় শ্রীশান্ত আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। গ্রেপ্তার হয়ে তিহার জেলে থাকার দুঃস্বপ্নমাখা সেই অনুভূতি নাকি তাকে অনেকবারই আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, ১০ আগস্ট, ২০১৭
এমআরপি