রোববার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি একথা জানান।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে দলে নিজের অবস্থান সুসংহত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শফিউল বলেন, ‘সব সময়ই ভালো করার ইচ্ছে নিয়ে মাঠে নামি।
আর এই ক্ষেত্রে শফিউলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি যোগাচ্ছে গত সপ্তাহে চট্টগ্রামে খেলা প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫ উইকেটের ঝলক। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়া সিরিজকে সামনে রেখে ১০ জুলাই শুরু হওয়া ক্যাম্প থেকে যা অর্জন করেছেন সেগুলোও তার কাছে এই ক্ষেত্রে অনন্য হয়ে উঠেছে, ‘আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি। ম্যাচ খেলছি, নেটে যে কাজ সেটা করে যাচ্ছি। দলে যায়গা পাওয়া না পাওয়া পুরোটাই ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। তারা যাকে নির্বাচন করবে সেই খেলবে। তবে আমি যদি সুযোগ পাই চেষ্টা করবো সেরাটা দিতে। ’
বল হাতে দেশের হয়ে শফিউলকে সবশেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সফরকরী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে। ওই ম্যাচে ৯.৫ ওভার বল করে ৬১ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছিলেন বেন ডাকেট ও জনি বেয়ারস্টোর দু’টি মূল্যবান উইকেট।
ছিলেন গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সিরিজের স্কোয়াডেও। কিন্তু গেল বছরের ২৬ নভেম্বর বিপিএলের চতুর্থ আসরের প্রথম প্লে অফ ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ-পায়ে চোট পেয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে ছিটকে যান শফিউল। তার পরিবর্তে দলে ডাক পেয়েছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
এরপর ৯-১৩ ফেব্রুয়ারি স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে হায়দ্রাবাদে একমাত্র টেস্ট সিরিজের জন্যও তাকে ১৫ সদস্যের দলে রাখা হয়েছিল। দলের সাথে ভারতে গিয়েও কম্বিনেশনের কারণে খেলতে পারেননি।
২০১০ সালে টেস্ট ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখা শফিউল এই পর্যন্ত ৯ টেস্ট খেলে উইকেট পেয়েছেন ১৫টি। আর ৫৬টি ওয়ানডে থেকে তার উইকেট সংখ্যা ৬৩টি। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ১১টি যেখানে তার উইকেট ৮টি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ১৩ আগস্ট ২০১৭
এইচএল/এমআরপি