কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কখনোই ব্যাট হাতে নামা হয়নি। বাংলাদেশ দল সব শেষ অজিদের বিপক্ষে ২০০৬ সালে যখন মাঠে নেমেছে তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই তার আবির্ভাব ঘটেনি।
টিম অস্ট্রেলিয়া! যে সে ব্যাপার নয়। বিশ্ব ক্রিকেটে দাপুটে এক দলের নাম। যাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতে যে কেউই মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু এই টাইগার লিটন মাস্টারকে ঠিক তাদের দলের বলে মনে হলো না। প্রখমবারের মতো প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াকে পেয়েও তার মধ্যে কোন রোমাঞ্চ কাজ করছে না। বরং বেশ স্বাভাবিক আছেন এবং স্টিভ স্মিথদের অন্য আট দশটা দলের মতোই মনে করছেন।
‘অন্য আট দশটা ম্যাচের মতোই। যদি আমি ভালো খেলি তাহলে ভালো লাগবে। ’ সোমবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি এমনটি জানান।
অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েও মুমিনুলকে ভাবলেশহীন মনে হলেও পারফরম্যান্সের জায়গায় তাকে কিন্তু ঠিকই অটল মনে হলো। উইকেট স্পিন নাকি ফ্ল্যাট হবে তার ধার ধারছেন না তিনি। বরং তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে পারফরম্যান্স। অজিদের দুর্দান্ত বোলারদের জবাবটা তিনি দিনে চাইছেন তার শান্ত ও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে।
‘আমি জানি না উইকেট স্পিন নাকি ফ্ল্যাট হবে। আমার নিজের উপর চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। উইকেট যেমনই হোক নিজের জন্য ও দলের জন্য ভালো খেলতে হবে। ’
অস্ট্রেলিয়াকে পেয়েও মুমিনুল রোমাঞ্চিত নন, নিজের জন্য ও দলের জন্য ভালো খেলতে চাইছেন সব ঠিক আছে। কিন্তু দিন শেষে তাকে কিছুটা হলেও অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ ভাবাচ্ছে। কেননা জেমস প্যাটিনসন, ম্যাথু ওয়েড, জশ হ্যাজেলউড ও জ্যাকসন বার্ডের মতো সিমারদের মোকাবেলা সে তো আর সহজ কাজ নয়। তাই তাদের বারুদসম বল মোকাবেলায় অনুশীলনেও আলাদা করে সময় ব্যয় করছেন।
‘প্রতিনিয়ত নেটে ব্যাটিং করছি, পুরনো বল ও নতুন বলে ব্যাটিং করছি, মেশিনে ব্যাটিং করছি। আলাদা আলাদাও করছি। কেননা দিন শেষে একটু চিন্তাতো করতেই হয় যে ওদের ভালো পেস আক্রমণ আছে। ’
টেস্টে ৪৬.৮৮ ব্যাটিং গড়ে ১৬৮৮ রানের মালিক ২৫ বছর বয়সী মুমিনুল। ৪টি সেঞ্চুরি ও অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন ১১ বার। সর্বোচ্চ ১৮১ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটি খেলেছিলেন ২০১৩ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রামে, সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ১৪ আগস্ট, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম