আর শুধু টেস্ট সিরজ খেলতে টিম অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে এসেছে ১১ বছর পর। এই বিষয়গুলোই অস্ট্রেলিয়ান দলের অধিনায়কের কাছে রোমাঞ্চ হয়ে ধরা দিচ্ছে।
তিনি জানান, ‘বাংলাদেশে এসে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। ২০১১ সালে আমি এখানে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছিলাম। তাছাড়া ২০০৬ সালের পর এবারই প্রথম আমরা টেস্ট খেলতে এলাম। আগামী কয়েকটা সপ্তাহ আমাদের দারুণ চ্যালেঞ্জিং যাবে। খুবই ভালো লাগছে। ’
শনিবার (১৯ আগস্ট) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ মাধ্যমকে এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন ২৮ বছর বয়সী এই অজি দলপতি।
তবে স্মিথ রোমাঞ্চিত হলেও তাকে ভাবাচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশের বর্তমান ফর্ম। দেশে ও দেশের বাইরে ওয়ানডের পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটেও টাইগাররা যে দুর্লভ এক একটি জয় ছিনিয়ে আনছে তাতে তার কপালে চিন্তার ভাঁজ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কারো চোখই এড়িয়ে যায়নি। বারবারই স্মিথ বলছিলেন, ওরা নিজেদের মাটিতে এখন দুর্দান্ত এবং সিরিজটি বেশ চ্যালেঞ্জিংই হবে, ‘সিরিজটি চ্যালেঞ্জিং হবে। বাংলাদেশ এখন আগের সেই দল নেই। দেশের মাটিতে গত কয়েক বছর যাবৎ ওরা দারুণ খেলছে। ’
তাই বলে হাল ছাড়ছেন না বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের দলপতি, লড়বেন শক্তভাবেই। হ্যাঁ, একথা ঠিক যে উপমহাদেশের কন্ডিশন তাদের জন্য সব সময়ই ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সেই ভাবনা তাদের এবার আর যেনো নেই। কেননা এ বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত সফরে এসে তাদের মাটিতে চার ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেই পেয়েছে ৩৩৩ রানের বিশাল জয়। আর তৃতীয় ম্যাচটি করেছে ড্র। যদিও সিরিজ বাঁচাতে পারেনি। হেরে গেছে ২-১ ব্যবধানে।
ভারতের বিপক্ষে খেলা সেই অভিজ্ঞতাই এবার বাংলাশের বিপক্ষে কাজে লাগাতে চাইছেন এই সফরকারী দলের অধিনায়ক, ‘আমরা জানি বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। উপমহাদেশের উইকেট সবসময়ই ভিন্ন হয়। তবে আশা করছি ভারতের বিপক্ষে খেলা সিরিজ থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পেরেছি। আমরা ওভাবেই এখানে খেলতে চেষ্টা করবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ১৯ আগস্ট ২০১৭
এইচএল/এমআরপি