২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে দুর্দান্ত পারফর্ম করে টেস্ট স্পেশালিস্টের খেতাব পান মুমিনুল। গড় রান আকাশছোঁয়া করে ফেলায় টাইগারদের ব্রাডম্যান বলেও পরিচিতি পান তিনি।
কদিন আগেই মুমিনুল প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেছেন ৭৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। একই প্রস্তুতি ম্যাচে মুশফিকের দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে ১ রান করেছিলেন সৌম্য সরকার। ১০ রান করেছেন তামিমের দলে খেলা সাব্বির। কিন্তু এ দুই ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে স্কোয়াডে। অথচ সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় নিয়ে যে টেস্ট স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে তাতে জায়গা মেলেনি বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড়ে এগিয়ে থাকা এই ব্যাটসম্যানের।
মুমিনুলের ২২ টেস্ট ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা সৌম্য-সাব্বিরের মোট ১৩ টেস্ট অভিজ্ঞতার চেয়ে মূল্যবান বলে জানাচ্ছেন অনেক ক্রিকেট বোদ্ধা। কারণটাও স্বাভাবিক। অথচ মুমিনুলের নামের পাশে রয়েছে চারটি সেঞ্চুরি, ১১টি হাফ সেঞ্চুরি। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে তো তাকে রাখাই হয় না। কমপক্ষে ২০ টেস্ট খেলা দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মুমিনুলের গড় এখনো সবার থেকে অনেক উপরে। ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হয় মুমিনুলের। সেই বছরেই ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত শতক হাঁকান এই বামহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর টানা ১১টি টেস্টে ৫০ প্লাস ইনিংস ছিল মুমিনুলের। সাথে ছিল চারটি শতক। তবে, সর্বশেষ ২০১৪ সালে সেঞ্চুরির দেখা পান মুমিনুল। ২২ ম্যাচে ৪০ ইনিংসে ব্যাট করে মুমিনুলের রান ১৬৮৮। গড় ৪৬.৮৮। এ বছর মুমিনুল তিনটি টেস্ট খেলেছেন, যেখানে অর্ধশতক মাত্র একটিতে।
এক সময় যেই মুমিনুল ছিলেন টেস্ট দলের ‘অটোমেটিক চয়েজ’ সাদা পোশাকের ক্রিকেটে সেই মুমিনুল এখন উপেক্ষিত। কলম্বোয় শততম টেস্টের উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চান না কোচ-নির্বাচকরা। তবে, প্রথম টেস্টের জন্য বাদ পড়লেও দ্বিতীয় টেস্ট থেকে সম্ভাবনা ফুরিয়ে যায়নি মুমিনুলের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ১৯ আগস্ট ২০১৭
এমআরপি