ঢাকা আসার পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্মিথ জানিয়েছিলেন, ‘বাংলাদেশে এসে তিনি রোমাঞ্চিত। ’ চলন্ত ট্রেনে যাত্রী বেশে মানুষ ছাদে করে যাচ্ছেন, এটা দেখেও হয়তো রোমাঞ্চের কিছুটা স্বাদ পেয়েছেন তিনি।
ভিডিও করার সময় স্মিথ জুম করে বোঝার চেষ্টা করেছেন আসলে ঘটনাটা কী? ট্রেনের ছাদে এত মানুষ কেন? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার প্রমাণ মিলেছে। স্মিথ ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে ভিডিওটি আপলোড করলে অনেকেই ‘এটা কোনো ব্যাপারই না’ ভঙ্গিতে কমেন্ট করে যাচ্ছেন। কারণটাও স্বাভাবিক। ঈদের সময় ট্রেনের ছাদে মানুষের ভিড় দেখে অভ্যস্ত বাংলাদেশের জনগণ। নাড়ির টানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ছুটে চলে। ঈদ ছাড়াও বিশেষ কিছু ট্রেনে ভিড় দেখা যায় হরহামেশাই।
চলন্ত ট্রেনের জানালা দিয়ে অনেকেই মাথা বের করে রেখেছেন। এটাও হয়তো স্মিথকে অবাক করেছে। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি হ্যাশট্যাগে ‘বাংলাদেশ’ আর ‘ওয়াচ ইয়োর হেড’ ব্যবহার করেছেন। স্মিথ লিখেছেন, ‘যখন ট্রেনের বগিতে স্থান সংকুলান না হয় তখন কী-ই বা করার থাকে..’
স্মিথের সেই পোস্টের কমেন্টবক্সে অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন। নিজাম উদ্দিন নামের একজন লিখেছেন, ‘এটা লোকাল ট্রেন এবং মানুষ এভাবেই যাত্রা করে। কিন্তু, লম্বা যাত্রায় এমনটা হয় না। ’ সাব্বির আহমেদ নামের একজন লিখেছেন, ‘এটাই বাংলাদেশের সৌন্দর্য্য। ভালোবাসি বাংলাদেশকে। ’ সিহাব নামের একজন লিখেছেন, ‘এটাই বাংলাদেশের প্রতিদিনকার জীবন। এনজয় করো। নিজের ফ্যামিলির জন্য এটা সংরক্ষণ করো। ’
সাদমান সাকিব লিখেছেন, ‘আপনি এর চেয়েও বেশি ভিড় দেখতে পারবেন ঈদের ছুটিতে। ’ মুনিব ফুয়াদের কমেন্ট ছিল, ‘এটা আমাদের জন্য সাধারণ বিষয়। ৫-৭ দিন পর আপনি দেখতে পাবেন কিভাবে মানুষ ট্রেনের দরজা-জানালায় ঝুলছে। তারপরও আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি আর আপনাকে এই বাংলাদেশে স্বাগতম। ’
স্মিথের করা ভিডিওটি:
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ২০ আগস্ট ২০১৭
এমআরপি