মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি একথা জানান।
অ্যাগার এতটুকুও ভুল বলেননি।
আর বাংলাদেশের কথা যদি বলি; মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ, দুটিই স্পিন স্বর্গ। উদাহরণ টানতে খুব বেশিদূর যাওয়ার দরকার নেই। গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২০ উইকেটের ১৬টিই ছিল স্পিনারদের দখলে। বাকি চারটি পেসারদের।
দ্বিতীয় টেস্টে মিরপুরে এসেও সেই স্পিন আলেখ্য। প্রথম ইনিংসে ২০ উইকেটের ১৫টি এসেছে স্পিনারদের ঘূর্ণি থেকে। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাই। ফলে অ্যাগার স্পিনারদের এগিয়ে রাখাতে ভুল করলেন না, ‘কোন সন্দেহ নেই স্পিনাররাই ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করবে। ’
স্পিনারদের পাশাপাশি পেসারদেরও পিছিয়ে রাখলেন না অ্যাগার। রির্ভার্স সুইং পেলে স্পিনারদের চেয়ে তারাও ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন জানিয়ে দিলেন এই তরুণ বাঁহাতি স্পিনার, ‘আমাদের জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স ও জ্যাকসন বার্ডের মতো পেসার আছে। রিভার্স সুইং পেলে তারাও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। ’
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে দু’জন স্পিনার খেলানোর বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অজি কোচ ড্যারেন লেহম্যান। সেই বিষয়টিই আজ অ্যাগারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সম্মতিসূচক উত্তর দিলেন, ‘দু’জন স্পিনারের বিষয়ে আমিও আশাবাদী। আশা করছি কোচ আমাকে রাখবেন। তবে সোয়েপসনও ভালো স্পিনার। ’
সন্দেহ নেই অ্যাস্টন অ্যাগার অজি নির্বাচকদের অন্যতম সেরা বাছাই। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে নটিংহ্যামে অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে টেস্ট ফরমেটে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখা এই ২৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার টানা তিন বছর দলে না থেকেও বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে জায়গা পেয়েছেন। স্পিন বিভাগে তার সাথে তরুণ সোয়েপসন, অভিজ্ঞ নাথান লায়নতো আছেনই। আর পেস আক্রমণে হ্যাজেলউড, কামিন্স ও বার্ডের মতো বিভিষিকাময় এক একজন বোলার রয়েছেন।
তারপরেও তার কথা শুনে মনে হলো বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের (তামিম, ইমরুল, সাকিব) নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছে পুরো অস্ট্রেলিয়া টিম ম্যানেজমেন্ট, ‘বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটসম্যানরা ভীষণ আক্রমণাত্মক। অবশ্যই স্পিনারদের উপর তারা প্রভাব বিস্তার করতে চাইবে। তাই তাদের বিপক্ষে বল করাটা চ্যালেঞ্জিংই হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ২২ আগস্ট ২০১৭
এইচএল/এমআরপি