২০১৬ সালের পর থেকে আর টেস্ট খেলেননি ডি ভিলিয়ার্স। সেবার হাশিম আমলার থেকে সাদা পোশাকে নেতৃত্ব বুঝে নিয়েছিলেন তিনি।
ফলে ধারণা করা হয়েছিলো টেস্টে আর ফিরবেন না ডি ভিলিয়ার্স। পাশাপাশি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টর নেতৃ্ত্বে থাকা ফাফ ডু প্লেসিস বলেছিলেন ডি ভিলিয়ার্সের টেস্টে ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম।
ফাফ ডু প্লেসিসের নেতৃত্ব গুণ দেখেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানালেন ডি ভিলিয়ার্স, ‘টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে অসাধারণ একজন অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন ডু প্লেসিস। সেটিকে মাথায় রেখেই আমি ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে জানিয়ে দিয়েছি যে ওয়ানডে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছি। গত ৬ বছর ধরে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ছিল দারুণ সম্মানের। কিন্তু এখন নতুন কারও দলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার সময়। নতুন অধিনায়ক যাকেই করা হোক, আমার পূর্ণ সমর্থন থাকবে। ’
বাকি দুই সংস্করণের মতো ওয়ানডে অধিনায়ক যে ডু প্লেসিসই হচ্ছেন, সেটিকে স্রেফ বলা যায় সময়ের ব্যাপার।
চলতি বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি টেস্টে ফিরবেন ডি ভিলিয়ার্স। ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে থাকছেন না ডি ভিলিয়ার্স নিশ্চিতভাবেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ২৮ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় টেস্ট ৬ অক্টোবর।
প্রোটিয়াদের ক্রিকেট ইতিহাসে ১১তম ওয়ানডে অধিনায়ক ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত জাতীয় দলকে ১০৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। যেখানে ৫৯ ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি ৩৯ ম্যাচে হেরেছে। চারটি ম্যাচ পরিত্যক্ত ও একটি ম্যাচ টাই।
এখন পর্যন্ত অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান ২২২টি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে ৫৩.৫৫ গড়ে রান করেছেন ৯ হাজারেরও বেশি। সেঞ্চুরি রয়েছে ২৪টি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ২৪ আগস্ট, ২০১৭
এমএমএস