গত বছরের ডিসেম্বরে বিপিএলের চতুর্থ আসর শেষে এ বছরের মার্চে শুরু হয়েছিল মাঠের সংস্কারের কাজ। ফলে মাঠে প্রায় নয় মাস কোনো ম্যাচ হয়নি।
আউটফিল্ডের ৬ ইঞ্চি পরিমাণ মাটি তুলে প্রথমে তার উপরে ফেলা হয় বালু। এরপর মে মাসে সেই বালুর উপর লাগানো হয়েছে নতুন ঘাস।
কিন্তু নতুন এই ঘাস বেড়ে উঠতে না উঠতেই মরে গেছে। তুলনামূলক বড় ঘাসের জন্য দূর থেকে একটু সবুজ মনে হলেও কাছে গেলে মনে হয় শুধুই ধূসর! ঘাসের ফাঁকে চোখ মেলে তাকিয়ে আছে বালুমিশ্রিত মাটি। যেখানে ডাইভ দিতে গেলে থাকবে ছোট খাট ইনজুরির শঙ্কা।
প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে এবার, ঘাস দ্রুত বেড়ে উঠবে এই প্রত্যাশায় দেয়া দেওয়া হয়েছে সারও। কিন্তু তারপরও অবস্থা তথৈবচ।
ফলে স্বাগতিক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও মাঠ নিয়ে ততোটা সন্তুষ্ট নন। ‘আগে মিরপুর মাঠ যেরকম ছিল, সেরকম হয়ত নেই এখন। দুদলের জন্য একটু হলেও অস্বস্তিকর হবে। তবে আমরা এখানে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। কিছুটা জানি। মাস দুয়েকের মধ্যে হয়ত আরও ভালো হবে মাঠ। ’
সফরকারী দলের অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও মাঠ নিয়ে নিজের অবিব্যক্তিটা জানালেন ভ্রু কুঁচকেই। ‘আউটফিল্ডে ঘাস এখনও বেশ লম্বা। আশা করি কেটে ছোট করা হবে, ব্যাটসম্যানদের জন্য তাহলে ভালো হবে। ’
ধূসর বর্ণ কাটিয়ে শিগগিরই স্বরুপে ফিরবে শেরেবাংলা। সবুজের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য ও প্রকৃত মাঠের আনন্দে তৃপ্ত হবেন দেশ বিদেশের ক্রিকেটাররা, আপাতত এটিই সংশ্লিষ্ট সবার প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৭
এইচএল/জেডএম