ক্যারিয়ারের সূর্য মধ্যগগনেও ঠিকমতো গড়ালো না, তার আগেই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেন নাফিস। তাই আজ সেই অজিদের বিপক্ষে তাকে আর মাঠে ব্যাট হাতে গর্জে উঠতে দেখা যাচ্ছে না।
দলে নেই। সেটি নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই তার। নেই কষ্ট বা আবেগ। থেকেই বা কী লাভ? কে দেখবে? দেখার সময়ই বা কোথায়। জাতীয় দলের যে বাস্তবতা তার নিরিখে নাফিসের কষ্টের কোনো মূল্য থাকার কথাও না। খোদ নাফিসই সে বিষয়টি অকপটে স্বীকার করলেন, ‘কোনো কষ্ট বা অভিযোগ নেই। করেই বা কী লাভ? আমাদের দলের বর্তমান বাস্তবতায় আমার কষ্টের বা আবেগের কোনো দাম নেই। ’
তবে আশাহত হচ্ছেন না এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ঘরোয়া ক্রিকেটে যেভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছেন তাতে করে একদিন না একদিন দলে ডাক পাবেন বলে নিজের উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখছেন, ‘বাংলাদেশের হয়ে খেলছি না এই সিদ্ধান্তটা আমার না। তবে আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন পারফর্ম করছি জাতীয় দলে খেলার মতো সামর্থ্য রাখি। সেই অভিজ্ঞতাও আমার আছে। কিন্তু দলে নেয়া না নেয়ার সিদ্ধান্তটা আমার হাতে নেই। ’
ঠিক আছে, নির্বাচক মন্ডলীরা যখন মনে করবেন নাফিসের খেলার সময় হয়েছে তখনই খেলবেন। আপাতত বিষয়টি সমেয়ের হাতে ছেড়ে দেয়া যাক।
নাফিস সবসময়ই আশাবাদীদের দলে। তাই মাঠ ছেড়ে এখন তিনি যে কাজটি করছেন (ধারাভাষ্য) সেটিই ভালভাবে করতে চান। খেলা ছেড়ে দিলে ভবিষ্যতে ধারাভাষ্য নিয়েই থাকতে চান, ‘আমার কাছে মনে হয় এটা ভবিষ্যতের জন্য ভালো কাজ হতে পারে। যেহেতু ক্রিকেট খেলছি, বেশ কিছুদিন খেলার পরিকল্পনা আছে। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ক্রিকেটের সাথেই থাকতে চাই। তাই এটা আমার জন্য ভালো একটি শিক্ষা হতে পারে। ’
ধারাভাষ্যের অভিজ্ঞতা এটিই নাফিসের প্রথম নয়। এর আগে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত ইমার্জিং এশিয়া কাপেও তিনি ধারাভাষ্য দিয়েছিলেন। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটিই তার প্রথম। তাই কিছুটা রোমাঞ্চিত বলেও তাকে মনে হলো।
নাফিস যে ধাচের পারফর্মার তাতে শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও পারফরমেন্সের আলোয় দ্যুতি ছড়ানোর সামর্থ্য তার আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ২৭ আগস্ট ২০১৭
এইচএল/এমআরপি