দুটি টেস্ট এবার খেলা হয়েছিলো পচেফস্ট্রুম ও ব্লুমফন্টেইনে। তবে মিরপুর ও চট্টগ্রামে ধারাবাহিকতা এখানে ছিটেফোঁটায়ও ছিলো না।
মুশফিকের টস ভাগ্য বরাবরই ভালো। তবে এতেও কোনো কাজ হয়নি। দুই টেস্টে টসে জিতেও করুণ হার। ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই শুধুই হতাশার গল্প।
মজার কথা এমন সিরিজ আশা করেননি প্রতিপক্ষের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসও। তিনি বরং উঠতি বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াই আশা করেছিলেন, ‘শেষ এক বা দুই বছরে তারা টেস্টে বড় মাপের দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে। আমি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আশা করেছিলাম। আমি আশা করিনি তারা সিরিজ জিতবে, তবে ভেবেছিলাম আমরা প্রচুর চাপে থাকবো কারণ তাদের দলে সেই দক্ষতা আছে। ’
এদিকে এই সিরিজে বাংলাদেশি স্পিনারদের ভূমিকা ছিলো খুবই নাজুক। তরুণ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ দেশের মাটিতে চমক দেখালেও এখানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। পেসাররা কিছুটা লাভবান হলেও মূলত ব্যাটিংটাই টাইগারদের ম্যাচে দাঁড়াতে দেয়নি।
এবারের সফরের আগেই অবশ্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসনকে দুই টেস্ট থেকে বিশ্রাম দিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ইনজুরি নিয়ে প্রথম টেস্ট খেললেও দ্বিতীয় টেস্টে আর মাঠে নামা হয়নি ওপেনার তামিম ইকবালের। এখন প্রশ্ন উঠেছে সাকিব-তামিম ছাড়া কি অচল বাংলাদেশ শিবির?
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, ০৯ অক্টোবর, ২০১৭
এমএমএস