এমনিতেই স্পট ফিক্সিংয়ের কাণ্ডে শীর্ষে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। দেশটির গ্রেড ওয়ানের অনেক তারকা ক্রিকেটাররাই অতীতে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন।
আবুধাবিতে সিরিজ চলার সময় বাজে সময় পার করা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সরফরাজ। বাজিকরদের কাছ থেকে এমন প্রস্তাব পেয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই দুর্নীতি দমন ইউনিটকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে, বাজিকরের পরিচয় প্রকাশ করেনি পিসিবি। নিরাপত্তার ইস্যুতে দুবাইয়ে পাকিস্তানিদের টিম হোটেল পরিবর্তন করা হয়েছে।
পিসিবির এক কর্মকর্তা সরফরাজের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, ‘সরফরাজের এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছে পিসিবি। আমরা কঠোরভাবেই এটা হতে দিতে চাই না। হোটেলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। খেলোয়াড়দের ওপর নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। আইসিসির নিয়মানুযায়ী এরকম ক্ষেত্রে আমরা খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করতে পারি না। তবে, সরফরাজ প্রস্তাবটি পাওয়ার সাথে সাথেই সংশ্লিষ্টদের (আইসিসি) জানানোয় তারা সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। সঠিকভাবেই ব্যাপারটি আয়ত্ত্বে আনা হয়েছে। জাতীয় দলের অধিনায়ক ও খেলোয়াড় হিসেবে সরফরাজ আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। এটা বাকি ক্রিকেটারদের সামনে উদাহরণ সৃষ্টি করবে বলেই আমরা মনে করি। ’
আরও জানানো হয়, বাজিকরদের চেনেন সরফরাজ। তারা নাকি দুবাই থেকেই তাদের কাজকর্ম চালায়। তাদের সাথে পাকিস্তান দলের আরও খেলোয়াড়দের পরিচয় আছে। আর এবারের বিষয়টি যথাযথ প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি মেনেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরফরাজ তার সতীর্থদের দেখিয়েছে কিভাবে খেলাটিকে কলুষিত করার প্রচেষ্টা থেকে দূরে থাকতে হয়। এই ঘটনায় মাঠের বাইরে চলাচলে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে পাকিস্তান দলের ওপর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ২১ অক্টোবর ২০১৭
এমআরপি