তবে ফ্রি’তে এক ঘণ্টার সাক্ষাৎকার দেবেন না গেইল। এর জন্য নিলামের ডাক দিয়েছেন তিনি! শুরুটা করেছেন ৩ লাখ মার্কিন ডলার দিয়ে।
একটি শর্তও জুড়ে দিয়েছেন গেইল। তার সাক্ষাৎকার নিতে হলে সাংবাদিকদের যেতে হবে জ্যামাইকাতে। নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে লেখেন, ‘আমার একটি আকর্ষণীয় গল্প বলার আছে। যেটি ৬০ মিনিটের একটি সাক্ষাৎকার হতে পারে অথবা আমার পরবর্তী বইয়ের জন্য সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে। ’
কোর্টে কী হয়েছিল সেই চুম্বক অংশাটাও তুলে ধরবেন গেইল, ‘কোর্টে কী হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ায় পর্দার আড়ালে কী হচ্ছিল, কিভাবে তারা আমাকে আজীবন নিষিদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়েছে, কিভাবে আমাকে বলির পাঁঠা বানাতে চেয়েছিল সবই বলব। সব শোনার পর একটা সিনেমা মনে হবে। কিছু বাদ রাখব না। নিলামের শুরু করলাম ৩ লাখ ডলার দিয়ে। ’
নিলামের জন্য অবশ্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দেননি গেইল। কবে নাগাদ সাক্ষাৎকার দেবেন তাও নির্দিষ্ট করে বলেননি। কোনো সংবাদমাধ্যম এখন পর্যন্ত আগ্রহ দেখিয়েছে কিনা তাও জানা যায়নি।
২০১৫ বিশ্বকাপে সিডনির ড্রেসিং রুমে এক নারী ম্যাসাজ থেরাপিস্টের সঙ্গে গেইলের অশালীন আচরণ করার দাবি তুলে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ফেয়ারফ্যাক্সের অধীনে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, দ্য এজ ও দ্য ক্যানবেরা টাইমস। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়। অভিযোগ, গেইল নাকি ড্রেসিং রুমে লিনে রাসেলের সামনে পরনের তোয়ালে খুলে গোপনাঙ্গ প্রদর্শন করেন।
মানহানিকর এই খবরকে ভিত্তিহীন বলে ক্ষুব্ধ হয়ে নিউসাউথওয়েলসের আদালতে ফেয়ারফ্যাক্সের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন গত সেপ্টেম্বরে ৩৮-এ পা রাখা গেইল। শুনানিতে এসে নারী থেরাপিস্ট তার সঙ্গে গেইলের অশালীন আচরণের অভিযোগের কথা উত্থাপন করেন। কিন্তু জুরি বোর্ড এসবের কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি। শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর বেশে আদালত থেকে বের হন ‘ইউনিভার্সাল বস’ খ্যাত ক্রিস গেইল।
আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের গেইল বলেন, ‘আমি জ্যামাইকা থেকে এখানে নিজেকে সত্য প্রমাণ করতে এসেছি। আর দিন শেষে আমি খুবই, খুবই খুশি। আমি একজন ভালো মানুষ। আমার কোনো দোষ নেই। ’
মানহানির এ মামলায় গেইলের ক্ষতিপূরণের অংক পরবর্তী শুনানিতে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে ফেয়ারফ্যাক্সের আইনজীবী স্থানীয় রিপোর্টারদের জানান, তারা এ ব্যাপারে আপিল করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ১০ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরএম