তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে হাথুরু আর থাকছেন না। কেননা শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে তার নাকি ইতোমধ্যেই সকল বোঝাপড়া শেষ।
এমতাবস্থায় টাইগারদের জন্য নতুন কোচ খোঁজার কোন বিকল্প নেই। বিসিবিও সেই কাজটি দ্রুত শুরু করবে। আর এই ক্ষেত্রে তাদের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে উপমহাদেশের কোচ। তিনি হতে পারেন পাকিস্তানি, ভারতীয় কিংবা আবার কোনো শ্রীলঙ্কান।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে এমন কিছুরই আভাস দিলেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস, ‘হাথুরুসিংহে যদি শেষ পর্যন্ত না আসেন তাহলে আমরা নতুন কোচ দেখবো। সেজন্য তাড়াহুড়ো করবো না। সময় নেব। দু-এক মাস হয়তো সময় লাগবে। যাতে করে দলের সাথে সবকিছু মানিয়ে নেওয়া যায়। উপমহাদেশর কোচ হলে খুবই ভালো হয়। ’
আর নতুন কোচ খুঁজে পাওয়ার আগ পর্যন্ত দেশি কোচ দিয়ে মাশরাফি, মুশফিকদের কাজ চালাবেন বলেও আশ্বস্ত করলেন এই মিডিয়ার কমিটির প্রধান, ‘মধ্যবর্তী সময়ে হয়তো আমাদের দেশি কোচ নিয়োগ দিতে হবে। ’
উপমহাদেশের কোচই কেন? সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুসের উত্তর, ‘উপমহাদেশের কোচ হলে আমাদের সংস্কৃতির সাথে খুব তাড়াতাড়িই খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। পাশাপাশি দলের সাথেও তার বোঝাপড়াটা দ্রুত হবে। ’
হাথুরুসিংহে উপমহাদেশের কোচ। কিন্তু দলের সিনিয়র প্লেয়ারদের সাথে তার ধারাবাহিক দ্বন্দ্বের বিষয় ছিল সর্বজনবিদীত। তবে বিষয়টিকে গুরুতর সমস্যা বলে বিবেচনা করছেন না জালাল ইউনুস। তার মতে কোচ ও প্লেয়ারের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নতুন বিষয় নয়, ‘কোচ ও প্লেয়ারদের দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। এটা স্থায়ী কোনো সমস্যা না। সেটা কিন্তু ঠিক করা যায়। ’
** টাইগারদের কোচ হতে পুরোপুরি প্রস্তুত: সুজন
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ১১ নভেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি