অসাধারণ ব্যাটিং করে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ১৯ বলে আরিফুল করেন অপরাজিত ৪৩ রান। ১৮তম ওভারে রাজশাহীর হোসেন আলির বলে তুলে নেন ১৮ রান।
সংবাদ সম্মেলনে আরিফুল বলেন, ‘হোসেন আলির ওই ওভারটা আমি টার্গেট করেছিলাম। কারণ এরপর আবার বিদেশি বোলার আসবে। বুঝতে পারছিলাম হোসেন চেষ্টা করবে ব্লকে বল করার। আর আমার টার্গেট ছিল হয় হিট করবো, না হয় দুই রান নেব। এই আর কি, সফল হয়ে গেছি আমি। 'আমার বিশ্বাস ছিল যে শেষ পর্যন্ত যদি ধরে রাখতে পারি খেলাটা, তাহলে আমরা জিতবো। ’
এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সের ফলও পেয়েছেন আরিফুল। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটি উঠেছে তারই হাতে।
এবারের বিপিএলে দারুণ ধারাবাহিক আরিফুল। আগের ম্যাচটিতেই ২৫ বলে তিন ছক্কায় ৩৪ রান করেছিলেন। এর আগে আরেক ম্যাচে ২৫ বলে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৪০ রান করেছিলেন। তার সর্বশেষ চারটি ইনিংস হলো ৪৩*, ৩৪, ৪* ও ৪০।
বাংলাদেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটিও তার। ২০১৫ সালের মার্চে জাতীয় লিগে ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে রংপুরের হয়ে ৬ চার, ১২ ছক্কায় ৫৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন আরিফুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে আরিফুল আরও যোগ করেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় অন্য পাশে জুনাইদ খান ভাই ছিলেন, তিনি অনেক সাহায্য করেছেন। আরেকটা ব্যাপার, ফিল্ডার যখন অনেক বাইরে থাকে, মিস হিট হলেও দুই রান হওয়ার সুযোগ থাকে। এ জন্য আমাদের সমন্বয়টাও ভালো হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ২১ নভেম্বর ২০১৭
এমআরপি