একজন চার ম্যাচ পর, আরেকজন দু’ম্যাচ পর মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েছেন একাদশে। তারা হলেন রংপুর রাইডার্সের জিয়াউর রহমান ও নাজমুল ইসলাম অপু।
এদিন তারা শুধু সুযোগ পাননি, দু’জনেই আজ দলের জয়ের নায়ক। দুজনেই এই এক ম্যাচ দিয়ে ছাপিয়ে গিয়েছেন বাদ পড়ার আগে খেলা চার ম্যাচের পুরো পারফরম্যান্সকেই।
ওপেনিংয়ে নামা জিয়াউর রহমান ক্রিস গেইলকে ‘ম্লান করে’ পাঁচ চার ও দুই ছয়ে খেলেছেন ১৮ বলে ৩৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। রানটা কম হতে পারে-কিন্তু ১৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তার ব্যাটিংয়েই ভিত্তিটা তৈরি হয়েছিল রংপুর রাইডার্সের।
এর আগে ১৭৩ রান করা সিলেট সিক্সার্সের ইনিংসের সামনে চার ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় তিনটি উইকেট তুলে নেন ম্যাচসেরা নাজমুল ইসলাম অপু। সিলেটের টপ অর্ডারের তিনজনকেই ফিরিয়েছেন তিনি। অন্যরা যেখানে প্রতি ওভারে সাতের ওপর করে রান দিয়েছেন সেখানে নাজমুল ভিন্ন। তার স্পিনের শিকার আন্দ্রে ফ্লেচার, নুরুল হাসান সোহান ও ওয়ানডাউনে নামা নাসির হোসাইন।
আগের চার ম্যাচে মোটে ২৭ রান করা জিয়াউর এই এক ম্যাচেই করলেন ৩৬। অন্যদিকে আগের চার ম্যাচে দুই উইকেট পাওয়া নাজমুল ইসলাম এই এক ম্যাচেই তুলে নিয়েছেন তিন উইকেট। যার কল্যাণে হয়েছেন ম্যান অব দ্যা ম্যাচ।
দিনশেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা নাজমুল ইসলাম অপুর কাছে নিজের মূল্যায়ন করতে বললে তিনি বলেন, ‘এখনও শিখছি আমি। এই বিপিএলে অনেক কিছু শিখছি। ’
আগের চার ম্যাচ ফ্লপ থাকার পর এই ম্যাচে এতোটা বদলে যাবার কারণ কী? এমন প্রশ্নে কোচ টম মুডি আর মোহাম্মদ রফিককেই কৃতিত্ব দিলেন ২৬ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান বাঁহাতি, ‘আমি গত চার ম্যাচে দলে ছিলাম না। কিন্তু এসময় কোচ আমাকে নিয়ে এক্সট্রা কাজ করেছেন। কোচ বলেছেন কাজ করলে কিছু একটা হবে। ’
উদাহরণস্বরূপ বলতে গিয়ে অপু বলেন, ‘আমি টিমের অনুশীলনে সাইড ওয়েজ বল করতাম। কিন্তু জানতাম না কোন অ্যাঙ্গেলে করলে ভালো ফল পাবো। তখন কোচ হাতে কলমে দেখিয়ে দেন এই অ্যাঙ্গেলে করলে ভালো হবে। দেখলাম সেভাবে করলে ভালো হচ্ছে। ম্যাচেও সেভাবে বল করলাম। সফল হলাম। ’
জিয়াউর রহমানকে নিয়েও হয়তো কোচ আলাদা পরিকল্পনা করেছিলেন, আলাদাভাবে কাজ করেছিলেন। না হয় লোয়ার অর্ডারে খেলতে অভ্যস্ত জিয়াউরকে কেনো সরাসরি ক্রিস গেইলের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামিয়ে দেবেন? তাও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো তারকা ওপেনার দলে থাকতে?
অবশ্য জিয়াউর রহমানের বক্তব্য না পাওয়ায় সে বিষয়টি অস্পষ্টই থাকলো। তবে ব্যাটিং শেষে ফেরার সময় মাশরাফিকে দেখা গেছে তাকে পিঠ চাপড়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। হাসি নিয়ে ডাগআউট থেকে একসঙ্গে হেঁটে হেঁটে ফিরছেন ড্রেসিংরুমে। তা হয়তো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে নিজের ও কোচের পরিকল্পনা সফল হলো বলে!
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
টিএইচ/টিসি/এমআরএম