কম্পিটিটিভ কমিটি অব ইন্ডিয়ার (সিসিআই) পক্ষ থেকে বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সম্প্রচার নিয়ে চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে এই জরিমানা করা হয়।
৪৪ পৃষ্টার এক আদেশে সিসিআই জানায়, সম্প্রচার চুক্তির সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বিসিসিআই। ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫ এবং ২০১৫-১৬-এই তিন অর্থবর্ষে ১ হাজার ১৬৪.৭ কোটি টাকা আয় হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। সিসিআইয়ের নির্দেশ অনুযায়ী মোট আয়ের ৪.৪৮ শতাংশ অর্থাৎ ৫২.২৪ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে বিসিসিআইকে। ফলে বোর্ডকে ৫২.২৪ কোটি ভারতীয় রুপি জরিমানা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সনি পিকচার নেটওয়ার্ক ২০০৮ সাল থেকে আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ত্বের মালিক ছিল। গেল সেপ্টেম্বরে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২.৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তিতে সম্প্রচার স্বত্ত্ব কিনে নেয় স্টার ইন্ডিয়া গ্রুপ। আগের চুক্তির চেয়ে এই অর্থের পরিমাণটা ১৫০ শতাংশ বেশি।
বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে সিসিআইয়ের স্পষ্ট অভিযোগ, আইপিএলের প্রতি ‘বোর্ডের অতিরিক্ত ফোকাস’ দেশের বাকি পেশাদার ঘরোয়া ক্রিকেট লিগগুলোকে প্রায় বন্ধ করে দিচ্ছে। এমন কী পেশাদার ঘরোয়া ক্রিকেট লিগের বাণিজ্যিক সাফল্য পাওয়ার রাস্তাও বন্ধ করে রেখেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই কোহলি-ধোনিদের বোর্ডকে জরিমানা করে সিসিআই। তবে এটাই প্রথমবার নয়, ২০১৩ সালেও সিসিআই জরিমানা করেছিল বিসিসিআইকে।
বাংলাদেশি মুদ্রায় এই জরিমানার পরিমাণ প্রায় ৬৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এদিকে, বিসিসিআইকে জরিমানা প্রসঙ্গে আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ‘আমরা প্রথম এই বিষয়টি নিয়ে ভালো করে জানব। প্রয়োজনে আমরা কোর্টেও যাবো। ’
জরিমানা নিয়ে বিসিসিআই এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ক্রিকেট বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তিধর বোর্ডকে জরিমানা করা নতুন এক আঘাত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডটি এখন চলছে সুপ্রিম কোর্ট মনোনীত প্রশাসক দ্বারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ৩০ নভেম্বর ২০১৭
এমআরপি