পরের ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ৪৮ রানে ছিলেন উইকেট শূন্য। তবে শেষটা প্রথম দুই ম্যাচের চেয়ে ভালোই করেছেন।
হবেন বা কী করে? অভিষেকের পর থেকেই যার হাত থেকে এসেছে ভুরি ভুরি উইকেট তার কাছে এতো সামান্যই। তাছাড়া শেষ ম্যাচটি বাদ দিলে আগের দুটির কোনটিতেই প্রতিপক্ষের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। তাইতো চট্টগ্রাম পর্ব শেষে কালবিলম্ব না করে বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতেই চেপেছেন ঢাকার বিমানে।
তার দল রাজশাহী ঢাকায় এসেছে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)। কিন্তু তিনি একদিন আগেই ফিরেছেন। ওইদিন রাতে সঙ্গে ফিরেছেন মুমিনুল হকও।
ঢাকায় ফিরে রাতটুকুই যা হোটেলে কাটিয়েছেন। পরদিন দুপুরেই চলে এলেন মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির জিমনেশিয়ামে। টানা দুই ঘণ্টা চললো তার অনুশীলন। সাইক্লিং, রানিং, ওয়েটলিফিন্টিং, পায়ের ব্যায়াম, পেটের ব্যায়ামসহ ছিলো ফ্রি হ্যান্ড অনুশীলনও।
জিমের ফাঁকে টুক টাক কথা বললেন সাংবাদিকদের সাথে। এমনিতেই তিনি স্বল্পভাষী। তার উপরে আবার তার কাজের সময়। তাই কোনো ব্যাপারেই লম্বা বিষয়ে আলাপচারিতার সুযোগ ছিলো না। ভারোত্তোলনের সময় বললেন, ‘চট্টগ্রামে যা করেছি তাতে আমার কষ্ট নেই। কষ্ট পেয়েই বা কী লাভ বলেন? তাতে করে আমি আরও পিছিয়ে যাব। ’ তখন তার হাতে ৩০ কেজি ওজনের ডাম্বেল। তার আগেই ২০ কেজির উত্তোলন শেষ করেছেন।
৩০ কেজির ওজন একবার ডানহাতে নিচ্ছেন একবার বাঁহাতে। ঘাম দরদর করে ঝড়ে পরছে। সেগুলো তুলতে তুলতেই বললেন, ‘পারফরম্যান্স নিয়ে কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। ’ কথাগুলো মোস্তাফিজ বলছিলেন ঠিকই কিন্তু তার চোখে মুখে খেলা করছিলো অন্য এক অবয়ব। এ অবয়বের মানে অন্য কিছু। এ অবয়ব প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়ে আবার সেই ছন্দে ফেরার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘন্টা, ৩০ নভেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি