অথচ দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচাইতে জাঁকজমকপূর্ণ এই টুর্নামেন্টের শুরুর দুটি আসরেই দারুণ খেলেছিল বন্দর নগরীর এই দলটি।
২০১২ সালে প্রথম আসরে গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বরিশাল বার্নার্সের চেয়ে হেড টু হেডে এগিয়ে থেকে উঠেছিলো সেমি ফাইনালে।
আর ২০১৬ সালে বিপিএলের চতুর্থ আসরে ১২ ম্যাচে ছয় জয়ে ছিল টেবিলের তিন নম্বরে। কিন্তু পঞ্চম আসরে এসে আবার সেই তৃতীয় আসরের দৈন্যতা পেয়ে বসেছে সৌম্য, মিসবাহর চিটাগংকে। ১০ ম্যাচের মাত্র ২ জয়ে ৫ পয়েন্ট (বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত এক ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট) নিয়ে এরই মধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে।
কেন এমন হলো? জানতে চাওয়া হয়েছিলো ভাইকিংসদের মেন্টর মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর কাছে। জবাবে নান্নু প্রথমেই দায়ী করলেন দলের দেশি প্লেয়ারদের বাজে পারফরম্যান্সকে, ‘আমাদের দেশি প্লেয়াররা ভালো পারফর্ম করতে পারছে না। এটাই আমাদের জন্য ভাইটাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজয় দুটি ইনিংস ভালো খেললেও সৌম্যর মতো আইকন প্লেয়ারের কোনো পারফরম্যান্সই নেই। শুভাশীষেরও নেই। তাসকিন উইকেট নিচ্ছে ঠিকই কিন্তু রান অনেক বেশি দিয়ে ফেলছে। সানজামুল দুটি ম্যাচ ভালো খেললেও বাকি ম্যাচগুলো ভালো খেলেনি। সব মিলিয়ে পারফরম্যান্স জিরো। ’
তবে দলের বিদেশি ক্রিকেটারদের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করলেন না নান্নু, ‘বিদেশি প্লেয়ারদের সাথে দেশিদের কম্বিনেশনে যদি দল ভালো না খেলে তাহলে রেজাল্ট পাওয়টা মুশকিল। ব্যাটিংয়ে বিদেশিরাই সব সময় রান করে দিচ্ছে। বিপিএলে একমাত্র চিটাগং ভাইকিংস পাওয়ার প্লে’র সঠিক ব্যবহার করতে পেরেছে। এভারেজ দেখবেন ১৭০ এর ওপরে রান। যেহেতু দেশি প্লেয়ারদের ওপরে দলটি নির্ভরশীল সেই হিসেবে লোকাল বোলাররা কিছুই করতে পারেনি। ওরা একটু ভালো করলে চিত্রটা ভিন্ন হতে পারতো। ’
দেশি খেলোয়াড়দের বাজে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ভাইকিংস ফ্র্যাঞ্চাইজির নিম্ন বাজেটকেও দায়ী করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক এই অধিনায়ক, ‘চিটাগং ভাইকিংস একটি লো বাজেটের দল। প্রথম থেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বড় বাজেটের দল করবে না। লো প্রোফাইলের দল হলে টিম ব্যালেন্স কঠিন হয়ে যায়। ’
সেই খেসারতই এখন দিচ্ছে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরের রানার্সআপ দলটি!
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ৩০ নভেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরএম