চিটাগং ভাইকিংসের ওপেনিংয়ে নেমেছেন সৌম্য আর দলপতি লুক রঞ্চি। তবে, ওপেনার পার্টনারের চার-ছক্কা চেয়ে চেয়ে দেখাটাই যেন কাজ হয়ে উঠেছে সৌম্যর জন্য।
আর এর প্রধান কারণ হিসেবে টাইগার ওপেনার দেখছেন পার্টনারের ব্যাটিং ঝড়কে। পার্টনারের সঙ্গে ব্যাটিং উইকেটেও তাল মেলাতে পারেননি সৌম্য। রঞ্চির এমন ব্যাটিং-ই তাকে চাপে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে অনুশীলন করতে আসে চিটাগং। কোন রাগঢাক না রেখে সৌম্য জানান, ‘আমার মনে হয় রঞ্চির জন্যই আমার চাপটা বেশি বাড়ছে। সে যেভাবে ব্যাটিং করে বুঝতে পারি না, ব্যাটিং উইকেট নাকি বোলিং উইকেট। আমার ২ রান, ওর দেখি ৩০-৪০ রান হয়ে যায়। আমারও কিছু করতে হবে এই ভাবনাটা চলে আসে। দুইটা বল ডট গেলে মনে হয় আসলে ব্যাটিং উইকেট। আমিই হয়তো মারতে পারছি না। ’
এবারের আসরে সৌম্য ৯টি ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু একটিও অর্ধশত রানের ইনিংস নেই। তার সেরা ইনিংস ৩৮ রানের। ৪টি ম্যাচে ৩০ কিংবা তার অধিক রান পেয়েছেন সৌম্য।
সৌম্য আরও জানান, ‘রঞ্চির ব্যাটিং থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সে সিনিয়র খেলোয়াড় তার কাছ থেকে অনেক কিছু নেওয়ার আছে। আমি চেষ্টা করছি সেসব নেওয়ার। আসলে ৩০ করে চার-পাঁচটা ম্যাচে মনে হয় আউট হয়েছি। ইনিংসগুলো বড় করতে পারলে সবাই বলতো সৌম্য রান করছে। নিজের কাছেও খারাপ লাগে যে নিয়মিত ৩০-৪০ এ আউট হচ্ছি। এটা থেকে বের হওয়া উচিত। কেন পারছি না আসলে জানি না। তারপরও চেষ্টা থাকবে অবশ্যই এখান থেকে বের হওয়ার। ’
‘আসলে টি-টোয়েন্টিতে মনসংযোগ ওইভাবে করার সুযোগ থাকে না। সময় নিয়ে চিন্তা করব, ১০টা বল খেলব তারপর ওভারকাম করব এমন সুযোগ থাকে না। চেষ্টা করেছি, সফল হতে পারিনি বলেই প্রশ্নগুলো আসছে। সাকসেস হতে পারলে আসত না। প্রশ্নগুলো যেন না আসে সেই চেষ্টা আমাকেই করতে হবে। ’ যোগ করেন সৌম্য।
১০ ম্যাচে মাত্র ৫ পয়েন্ট চিটাগংয়ের। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ৯ ম্যাচে ১৫২ রান করেছেন সৌম্য। বিপিএল শেষের পথে হলেও চেষ্টা চালিয়ে যাবেন সৌম্য, ‘এখনও দুইটা ম্যাচ আছে। যদি ৩০-৪০ এ যেতে পারি তাহলে চেষ্টা করব শেষ করার, যতটুকু সম্ভব। যদি শেষ দুইটা ম্যাচ জিততে পারি নিজেদের কাছে ভালো লাগবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ১ ডিসেম্বর ২০১৭
এমআরপি